Logo
Logo
×

রাজনীতি

কোটি মানুষের সংবর্ধনায় তারেক রহমানকে বরণ করা হবে: ইশরাক

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম

কোটি মানুষের সংবর্ধনায় তারেক রহমানকে বরণ করা হবে: ইশরাক

বিএনপি মনোনীত ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসবেন। ওই দিন তাকে কোটি মানুষের গণসংবর্ধনার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হবে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে জিয়া মাঠের পাশে নাজমা টাওয়ারে ওয়ারী থানার ৩৯নং ওয়ার্ড মহিলা দলের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইনশাআল্লাহ জনগণ বুক পেতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমন কোনো শক্তি নেই কোটি কোটি মানুষের বুক ভেদ করে তার ক্ষতি করে।

নারীদের অংশগ্রহণ ছাড়া আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট ভোটারের প্রায় ৫২ শতাংশ নারী। তাই নারীরা ভোটাধিকার চর্চায় এগিয়ে এলে রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আসবে।

বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, আমাদের দল ক্ষমতায় এলে নারীদের জন্য বিশেষ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

তিনি বলেন, বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির আওতায় নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক পরিবারের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালু করা হবে, যা পরিবারের গৃহিণীর নামে ইস্যু করা হবে। এতে নারীরা আর্থিকভাবে ক্ষমতায়িত হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশ পরিচালনা করবে। ভোট কারচুপি রোধে দলীয়ভাবে পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 

বিশেষভাবে নারী ভোটকেন্দ্রে শুধু নারী পোলিং এজেন্ট নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করে ইশরাক হোসেন বলেন, বিগত ১৭ বছরে দেশে ভোটের অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নয়, বরং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দল ক্ষমতায় গেলে লুটপাট ও পাচার হওয়া অর্থ বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ আবার অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। 

ঢাকা-৬ আসনের ভোটারদের উদ্দেশে ইশরাক হোসেন বলেন, আমি আপনাদের এলাকার সন্তান। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারলে এলাকার সব সমস্যা- গ্যাস, জলাবদ্ধতা, ময়লা-আবর্জনা ও নাগরিক সেবা নিয়ে জোরালো ভূমিকা রাখব।

তিনি বলেন, হাদিকে কেন আজ হত্যার শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে? তার কারণ ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী ভূমিকায় তিনি ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। এই অবস্থানটি অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেনি, বরং অনেকের কাছে মনে হয়েছে আগামী দিনে তিনি হয়তো একটি বড় হুমকিতে পরিণত হতে পারেন। সেই কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, হাদিরা কখনও মরে না। হাদি নিজের একটি বক্তব্যে বলেছেন-তার রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সেই আদর্শ অনুসরণ করেই তিনি তার রাজনীতি পরিচালনার চেষ্টা করেছেন। নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপসহীন একজন মানুষ। তার কোনো দুর্নাম ছিল না, কোনো বিতর্কিত বিষয়ও ছিল না। 

হাদিকে হত্যা করে আওয়ামী লীগ তাদের রাজনীতিতে শেষ পেরেক মেরেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় ওয়ারী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ আরিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুকীতুল আহসান রন্জু, ওয়ারী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম, মেহেদী হাসান লিটু, সৈয়দ মাসুদ রেজা সুমন, তবারক হাসান, ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল লিটন, ওয়ারী থানা মহিলা দলের সভানেত্রী সোনিয়া মাওলা, সদস্য সচিব সোনিয়া হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার