মেট্রোরেল কর্মীদের কর্মবিরতির ডাক, চালু রাখার ঘোষণা কর্তৃপক্ষের
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ এএম
আগামীকাল শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। মেট্রোরেল কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতির ডাকা দিলেও, কর্তৃপক্ষ বলছে সেবা চালু থাকবে।
দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী নিজস্ব চাকরি বিধিমালার দাবিতে গত ৪ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মেট্রো কর্মচারীরা।
পরে তারা ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রণয়নে আল্টিমেটাম দেন।
কিন্তু এ দাবিও পূরণ না হওয়ায় মেট্রো কর্মচারীরা ১২ ডিসেম্বর থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কর্তৃপক্ষ। তবে, বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত ২ কর্মচারী।
এতে আগামীকাল শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে কি না, তা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
আজ রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেট্রোরেল কর্মচারীরা জানান, কর্তৃপক্ষ ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সার্ভিস রুলস প্রণয়ন করতে না পারায় ডিএমটিসিএলের নিয়মিত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে।
দুই কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলাকালে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবা দেওয়া থেকে আমরা বিরত থাকব।'
তারা আরও জানান, চাকরিবিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিএমটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
'ডিএমটিসিএলের নিয়মিত কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ' ব্যানারে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সৃষ্ট জনদুর্ভোগের জন্য দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে।'
এদিকে রাত ৯টার দিকে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে জানায়, 'মেট্রোরেলের যাত্রী সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।'
যোগাযোগ করা হলে মেট্রোরেল পরিচালনা সংস্থা ডিএমটিসিএলের জনসংযোগ কর্মকর্তা (ডেপুটি ডিরেক্টর) মো. আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, 'আমাদের যা বলার ফেসবুক পেজ থেকে বলে দিয়েছি।'
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার পর প্রতিষ্ঠানটির ৯০০ জনের বেশি নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য কোনো স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এতে এই কর্মীরা ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, ওভারটাইম ও দীর্ঘমেয়াদি পদোন্নতির সুযোগসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।