শিশু সাজিদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
রাজশাহীর তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন। উদ্ধার অভিযান ও শিশুটির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এসব তথ্য জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘‘গর্তে ক্যামেরা নামানো হয়েছিল। ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে গেছে। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে স্থানীয়রা বাচ্চাটিকে উদ্ধারে চেষ্টা করেন। সে সময় এসব ঢুকে যায়। ধারণা করেছিলাম, ৩০ ফুটের পর শিশুটিকে পাওয়া যাবে। কিন্তু ৪২ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’’
তিনি বলেন, ‘‘মাটি ও খড় আটকে থাকায় এ অবস্থায় অক্সিজেন পাঠিয়ে লাভ নেই। তাই অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’
শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আপনারা যা ধারণা করছেন, আমরাও সেটা ধারণা করছি। এখন আল্লাহ চাইলে সবকিছু হতে পারে।’’
পরিচালক জানান, গর্তটি ৯০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছিল। সেই পর্যন্তই যেতে চান তারা। এ জন্য গর্তের পাশে তিনটি স্কেভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। ১০ ফুট পর পর সুড়ঙ্গ কেটে গর্তটি দেখবেন তারা। এছাড়া, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও চেষ্টা করবেন। শিশুটি উদ্ধার না হওয়া অভিযান চলমান থাকবে।
গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে বুধবার দুপুরে পড়ে যায় সাজিদ। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে আরো ৮টি ইউনিট যোগ দেয়। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সময়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি।