Logo
Logo
×

জাতীয়

শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় পালিয়ে বাঁচলেন ঢাবির সেই অধ্যাপক

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম

শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় পালিয়ে বাঁচলেন ঢাবির সেই অধ্যাপক

শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। 

অধ্যাপক জামাল আওয়ামীপন্থি নীল দলের শিক্ষক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক। এসময় একই বিভাগের আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষক অধ্যাপক জিনাত হুদাও তার সঙ্গে ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আ ক ম জামাল ও জিনাত হুদাসহ কয়েকজন আওয়ামীপন্থি শিক্ষক দুপুরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ যান। সেই খবর পেয়ে অনুষদ ভবনের সামনে জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী।

দুপুর ১টার দিকে তারা ভবন থেকে বের হতেই ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী আ ক ম জামালকে ধাওয়া করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, জুবায়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সিঁড়িতে অধ্যাপক জামালকে আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। জামাল নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টায় তার হুডি খুলে ফেলেন। তিনি সিঁড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালালে তার পিছু ধাওয়া করেন জুবায়ের।

এক পর্যায়ে অধ্যাপক জামাল একটি গাড়িতে উঠে পড়েন। তখনো গাড়ির দরজা টেনে ধরে তাকে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন।

নির্বাচন ছাড়াই আওয়ামী সরকারের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ঢাবি অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। ফাইল ছবি

জুবায়ের ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ পাঁচজন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিল। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!’

তিনি আরও লেখেন, ‘ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। খুনিদের সঙ্গে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সে সময় ক্যাম্পাসে ছিলাম না। তবে এর আগে আ ক ম জামাল স্যার ক্যাম্পাসে এলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। পরে আমরা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করি যে, তিনি আর আসবেন না। আমরা জামাল স্যারকেও বলেছিলাম না আসতে। তারপরও তিনি এসেছেন।

কোন পাঁচ শিক্ষক বৈঠক করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বাইরে ছিলাম, আমি তো জানি না। তবে এক ভিডিওতে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের আজমল স্যারকে দেখেছি। আমি খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার