মেট্রোরেল যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ, শুক্রবার থেকেই কি বন্ধ হচ্ছে?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা এবং বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর ৭টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কর্মসূচি শুরু হলে মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্মবিরতির পাশাপাশি প্রতিদিন ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন কর্মীরা।
কর্মচারীরা জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠান গঠনের পর এক যুগ পার হলেও ৯০০–র বেশি কর্মকর্তা–কর্মচারীর জন্য স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। এর ফলে ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট ভাতা, ওভারটাইম, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা ও পদোন্নতির অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি-বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রণয়নের আশ্বাস দেয়। কিন্তু নয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সার্ভিস রুলের সব ধারা পরিচালনা পর্ষদের সম্মতিক্রমে প্রস্তুত থাকলেও প্রকল্পের জনবলকে কোম্পানিতে আত্মীকরণের উদ্দেশ্যে সংযোজিত বিশেষ বিধান সরকারি নিয়ম ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এটি অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না।
১০ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মচারীদের জানান, বিশেষ বিধান বাদ না দিলে সার্ভিস রুল অনুমোদন সম্ভব নয়। তিনি কোনো সময়সীমাও দিতে পারেননি। এর পর কর্মচারীরা আলটিমেটাম দিয়ে জানান, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রকাশ না করলে ১২ ডিসেম্বর থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন।
তাদের দাবি, অযৌক্তিক বিলম্ব ও বিতর্কিত বিশেষ বিধান বহাল রাখায় তারা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কর্মসূচির কারণে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।