রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ব্রা'শফা'য়ার দিতে হবে বলা শিক্ষককে ধাওয়া
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং নীলদলের পরিচিত শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন।
ঘটনাটি ঘটে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে।
দিনের শুরুতে আ ক ম জামাল উদ্দীন ও নীলদল ঘনিষ্ঠ আরেক শিক্ষিকা অধ্যাপক জিনাত হুদাসহ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রবেশ করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষদ ভবনের সামনে জমায়েত হতে থাকেন।
দুপুর একটার দিকে ভবন থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একদল তাদের দিকে তেড়ে আসেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আ ক ম জামাল দ্রুত দৌড়ে নিচতলায় নেমে রাস্তায় চলে যান।
শিক্ষার্থীরা তখনও তার পেছনে ধাওয়া করছিলেন। পরে অধ্যাপক জামাল এবং জিনাত হুদা দ্রুত একটি প্রাইভেট কারে উঠে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান জানান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে নীলদলের পাঁচজন শিক্ষক গোপন বৈঠক করছিলেন বলে খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সেখানে পৌঁছায়।
তার দাবি, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অস্থির করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
খবর পেয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষদ ঘিরে ফেলেন এবং প্রতিবাদ জানান। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরও ঘটনাস্থলে ছিলেন।
‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রা'শফা'য়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদা সহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিলো।
খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো!
এরা চিহ্নিত খু'নিদের দোসর। এদের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে।
খু"নিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।