সাবেক এপিএসের দুর্নীতির বিষয়ে বিদায় বেলায় যা বলে গেলেন আসিফ
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টও ফেরত দিয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আসিফ মাহমুদ।
এদিন নিজের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি দুদককে অনুরোধ করে জানিয়েছি এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য। যখন এ বিষয়ে অভিযোগ আসে, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, আমি কাউকে কিছু করার সুযোগ দিইনি। সে কারণে দুদককে অধিকতর তদন্তের জন্য অনুরোধ করি। এখন সেটি দুদকের এখতিয়ার। তারা হালনাগাদ তথ্য জানাতে পারবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দিতে গত বছর অক্টোবরে একটি নীতিমালা জারি করে সরকার। ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪’–এ বলা হয়, উপদেষ্টাদের স্ত্রী বা স্বামীর পৃথক আয় থাকলে তার বিবরণীও জমা দিতে হবে। এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বুধবার তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিয়েছেন।
উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকার সময়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। আমরা জানি না তারা কিসের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করেছে। প্রকল্পটি পাস হওয়ার আগপর্যন্ত প্রতিবেদন করা কতটা ঠিক হয়েছে। এ প্রকল্প একনেকে পাস হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে আর একনেক সভা হবে না। তাই প্রকল্পটি আর পাস হবে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক সংবাদমাধ্যম বাক্স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করেছে। বাক–স্বাধীনতা থাকবে। তবে এর প্রকৃত ব্যবহার সবাই নিশ্চিত করবে।
আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন, সংবাদ সম্মেলনে সেটি পরিষ্কার করেননি। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।শোনা যাচ্ছে তিনি এনসিপি কিংবা গণঅধিকার পরিষদ থেকে ভোট করতে পারেন।