লজ্জায় গ্রাম ছেড়ে পালালেন জামায়াত নেতা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়নের পুরান বেড়ি গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন স্থানীয় জামায়াত নেতা ও যুব সমাজের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বাদশা।
ঘটনাটি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামে ব্যাপক সমালোচনা, ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিজের জন্য বিব্রতকর হয়ে উঠলে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। তাকে কেউ তাড়িয়ে দেয়নি—নিজ দায়িত্বে আত্মগোপনে চলে গেছেন তিনি।
ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গ্রামবাসী ও ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিরা সালিশ বসানোর উদ্যোগ নেন। উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও। তবে বাদশা নিজের অবস্থান জানাতে কিংবা সালিশে অংশ নিতে হাজির হননি। তার অনুপস্থিতির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টির নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এক সপ্তাহ পর পুনরায় সালিশ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এইদিকে ২ নম্বর ইউনিয়নের উত্তর চরবংশী জামায়াতের আমির গাজী ইমরান বলেন, “আমি ওই ওয়ার্ডের সভাপতির সঙ্গে কথা বলে যাচাই করেছি—ঘটনার অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং আমাদের দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও চালানো হচ্ছে। তবে বাদশা আমাদের যুব সমাজের সংগঠনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক—এটা সত্য।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাদশার আচরণে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল, তবে মঙ্গলবার রাতের ঘটনাটি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যুব সমাজের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে থাকা একজন ব্যক্তির এমন আচরণ সংগঠন ও এলাকার জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করছেন তারা।
বাদশার পরিবারের কেউই ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া না গেলেও স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, গ্রাম্য পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এবং এমন অনৈতিক আচরণের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।