Logo
Logo
×

জাতীয়

নিজের বাড়ির সামনে পার্ক লাইব্রেরি ও রাস্তা করছেন প্রশাসক এজাজ

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪১ এএম

নিজের বাড়ির সামনে পার্ক লাইব্রেরি ও রাস্তা করছেন প্রশাসক এজাজ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটের পেছনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) একটি খোলা জায়গা এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পার্ক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আনিসুল হক পার্কটির সৌন্দর্যবর্ধনের কার্যক্রম নেয়ার বিষয়েও স্থপতিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের সময়েও পার্কটি ডিএনসিসির অধীনেই ছিল। গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর মাঠটি আবার জাগৃকের অধীনে নিয়ে নেয়া হয়। এলাকাবাসী ও পরিবেশকর্মীদের সব দাবি উপেক্ষা করে ৪১ কাঠার জায়গাটিতে এখন আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

ডিএনসিসি এলাকার আরেকটি পার্ক বারিধারা জে ব্লক পার্ক। অভিজাত এলাকার এ পার্কটি বেশ কয়েক বছর ধরেই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। পরিণত হয়েছে ট্রাক, ভ্যান আর রিকশার গ্যারেজে। একটি পার্ক যেখানে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনে ভূমিকা রাখতে পারে জে ব্লক পার্কটি সেখানে বসবাসকারীদের ধুলো আর বায়ুদূষণের উৎসে পরিণত হয়েছে। পার্কে খেলতে আসা শিশু-কিশোর এবং আশপাশের দোকানদার ও বাসাবাড়ির মানুষজনও ধুলোতে নাকাল।

এ দুটি পার্কের মতো যেখানে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ, পার্ক, মাঠ, সড়ক বেহাল পড়ে আছে, হয়ে আছে বেদখল; সেখানে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের পশ্চিম আগারগাঁওয়ের বাড়ির সামনে দ্রুতগতিতে নির্মাণ হচ্ছে পার্ক, লাইব্রেরি ও সরাসরি সংযোগ সড়ক। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, অন্যসব পার্ক-মাঠ বেহাল বেদখল রেখে প্রশাসকের বাসার সামনে বেদখল স্কুল উচ্ছেদ করে সে জায়গায় নতুন পার্ক, লাইব্রেরি এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা ক্ষমতার সরাসরি অপচর্চা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, ‘একবার ডিএনসিসির প্রশাসক আমাকে বলেছিলেন, আগারগাঁওয়ে কিছু জায়গা আছে, সেখানে তিনি গণপরিসর করবেন। তার বাসার সামনে যে পার্ক হচ্ছে, সেটা সে কার্যক্রমের অংশ হতে পারে। তবে এটা কোনোভাবেই আমরা সঠিক বলতে পারি না। শুধু আগারগাঁও এলাকায় প্রশাসকের বাসা হওয়ার কারণে সেখানে দ্রুতগতিতে পার্ক হবে, রাস্তা হবে; আর মোহাম্মদপুর, উত্তরায় বা অন্যান্য এলাকায় গণপরিসর বেহাল পড়ে থাকবে—এটা সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতার সুবিধাগ্রহণ।’

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বিজ্ঞান জাদুঘরের উল্টোদিকে ‘‌ভূইয়া বাড়ি, ৬০ পশ্চিম আগারগাঁও’ নাম ফলকযুক্ত পাঁচতলা বাড়িটি ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাড়িটি সম্প্রতি নতুন করে রঙ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি প্রশাসক হওয়ার পরপরই বাড়িতে নতুন লিফট সংযুক্ত করেছেন।

বাড়ির সামনে প্রায় ২০ ফুটের মতো রাস্তা। আগে প্রশাসক এজাজের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে বা পায়ে হেঁটে ঢুকতে হলে আগারগাঁও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে দিয়ে ইউটার্ন নিয়ে তারপর কয়েকটি বাড়ি পার হয়ে ঢুকতে হতো। মোহাম্মদ এজাজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসক হওয়ার পর তিনি ক্ষমতার খাটিয়ে বাড়ির কাছের একটি স্কুল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে স্কুলটিকে বিকল্প জায়গা দেয়া হবে এমন আলোচনার ভিত্তিতে উচ্ছেদ করা হয়। পরে ওই জায়গাটিতে পার্ক ও পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। মূল সড়ক থেকে প্রশাসকের বাড়িতে ঢোকার জন্য প্রায় ৩০ ফুট চওড়া একটি সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসির একটি সূত্র নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, ‘পার্কের জায়গাটি মূলত গণপূর্তের। সেখানে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে, সড়ক হয়েছে, কেউ স্কুল উচ্ছেদ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার পর্যন্ত স্কুল উচ্ছেদ করতে ভয় পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রশাসক প্রথম সুযোগেই স্কুল উচ্ছেদ করেন। তিনি প্রশাসক হওয়ার প্রথম মাসেই স্কুল উচ্ছেদ হয়ে যায়। তারপর তিনি ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে গণপূর্ত থেকে জায়গাটি সিটি করপোরেশনের পার্কের জন্য লিখিয়ে নেন।’

ওই কর্মকর্তা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘‌সরকারি এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে সহজে জায়গা দিতে চায় না। কিন্তু ডিএনসিসি প্রশাসকের ভেতর এমন কী ম্যাজিক আছে, এক মাসেই গণপূর্ত জায়গা ছেড়ে দেয় এবং মাত্র ১০ মাসের প্রশাসকের বাসার সামনে নতুন রাস্তা হচ্ছে, পার্ক তৈরি হচ্ছে।’

সম্প্রতি প্রশাসক এজাজের বাসার সামনে গিয়ে দেখা যায়, দ্রুতগতিতে পার্ক ও রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। কর্মরত শ্রমিকরা জানান, প্রশাসকের বাসার সামনের কাজ, তাই ঠিকাদারের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

নিজের বাসার সামনে পার্ক, লাইব্রেরি ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘‌যে জায়গাটি অবৈধ দখলে ছিল সেটি রাস্তার জায়গা না। এটা হলো দুই রাস্তার মাঝখানের সেটব্যাক (ফাঁকা জায়গা)। সেখানে আমরা পার্কও করছি, লাইব্রেরিও করছি। পার্ক ডেভেলপমেন্টের তো আর কোনো প্রজেক্ট নেই আমাদের। যেগুলো উদ্ধার করছি, সেগুলো আমরা আরো সুন্দর করছি।’

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, মিরপুরের কালশী মাঠটিও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জমি ছিল। পরে এটি ডিএনসিসিকে মাঠ হিসেবে লিখিতভাবে দিয়ে দেয়া হয়। মোহাম্মদ এজাজ প্রশাসক হওয়ার পর এ মাঠটিও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেয়। মোহাম্মদ এজাজের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কালশি মাঠ ও মোহাম্মদপুর টাউন হল সংলগ্ন পার্কটি জাতীয় গৃহায়নকে ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে প্রশাসকের বাড়ির সামনের জায়গাটি গণপূর্ত পার্ক হিসেবে দিতে রাজি হয়।’

কালশি মাঠ গৃহায়নের কাছ থেকে ডিএনসিসির জন্য বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, ‘যে যায় লঙ্কায়, সে-ই হয় রাবণ। এজাজ তো আমাদের ছোট ভাই। আমরা একসঙ্গে পরিবেশ আন্দোলন করেছি। মোহাম্মদপুর টাউন হল পার্ক, মিরপুর কালশি মাঠ এগুলা কত কষ্টে ডিএনসিসির জন্য নেয়া হয়েছে, সব তো তার জানা। কিন্তু সে প্রশাসক থাকা অবস্থায় এগুলো ডিএনসিসির মালিকানা থেকে চলে গেল। এর দায় তার নিতে হবে। আবার গণপূর্ত তার বাড়ির সামনের জায়গা পার্কের জন্য দিয়ে দেয়! এত সহজ! সরকারের এক সংস্থা আরেক সংস্থাকে সহজে জায়গা দিয়ে দেয়!’

সম্প্রতি মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বনানী, বারিধারার অন্তত ১৫টি মাঠ-পার্ক ঘুরে দেখা যায়, বেহাল পড়ে আছে গণপরিসরগুলো। মোহাম্মদপুর ত্রিকোণ পার্কে গিয়ে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র মাঠের একাংশ দখল করে রেখেছে। বর্জ্যের পাশেই কয়েকটি শিশু ব্যাডমিন্টন খেলছিল। মাঠের ভেতর একটি অফিস ঘরও দেখা গেছে। মোহাম্মদপুর তাজমহল পার্কে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার একপাশের ওয়াশরুম পুরোপুরি বন্ধ। শ্যামলি পার্কে গিয়েও একই চিত্র চোখে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এসব মাঠ-পার্কের কোনো যত্ন নেয়া হয় না।

বনানী সি ব্লক পার্কের জায়গার মধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে পাবলিক টয়লেট। গতকাল বিকালে গিয়ে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটটি বন্ধ। এছাড়া পার্কটিতে শিশুদের খেলার জন্য কয়েকটি রাইড রয়েছে, যার সবগুলোই ভাঙা।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে ডিএনসিসির আওতাভুক্ত ফার্মগেটের আনোয়ার উদ্যানটি। কারওয়ান বাজারের পেছনে ডিএনসিসির তালিকাভুক্ত একটি পার্ক রয়েছে। সেখানে বহু বছর ধরেই বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত হয়ে আছে। ভাগাড়ের পর পুরো জায়গাটি খালি পড়ে আছে।

বিদ্যমান পার্কগুলোর উন্নয়নে ডিএনসিসির ধীরগতির কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, ‘প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ একজন পরিবেশকর্মী। তার সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তার প্রতি আমাদের প্রত্যাশা ছিল তিনি অন্তত মাঠ-পার্কগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবেন, সুন্দর করে দেবেন। কিন্তু তিনি আমাদের পরিবেশবাদীদের সম্পূর্ণ হতাশ করেছেন। এখন শুনছি তিনি নিজের বাসার সামনে পার্ক ও রাস্তা নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে আমার স্পষ্ট বক্তব্য হলো, ডিএনসিসি এলাকার অন্য সব পার্ক-মাঠের উন্নয়ন বাদ রেখে নিজের বাড়ির সামনে পার্ক ও রাস্তা বিদ্যুৎ গতিতে করার বিষয়টি অবশ্যই দৃষ্টিকটু। তিনি প্রশাসক বলে তার বাড়ির সামনে চোখের পলকে পার্ক হয়ে যাচ্ছে, তিনি বাড়ি থেকে বের হলেই পার্ক দেখবেন, আর অন্যান্য এলাকার নাগরিকরা পচা-দুর্গন্ধে থাকবে, আমরা পরিবেশকর্মীরা মনে করি, এটা নগরবাসীর সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরিবেশকর্মী হিসেবে আমি যদি প্রশাসক হতাম, তাহলে আমার বাড়ির সামনের পার্ক সবার পরে করতাম। আগে কিংবা দ্রুতগতিতে করলে যে কেউই প্রশ্ন করবে প্রশাসক বলে আমার বাড়ির সামনের কাজ দ্রুত করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রশ্ন থেকে প্রশাসককে মুক্ত থাকা উচিত।’

রাজধানীর মাঠ-পার্ক রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পরিবেশকর্মী নয়ন সরকার। তিনি বলেন, ‘ঢাকার মাঠ-পার্ক রক্ষায় কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় যতটি পার্ক ও মাঠ রয়েছে, তার মধ্যে একাধিক পার্ক বিভিন্ন ক্লাব, প্রভাবশালী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের দখলে। একাধিক পার্ক ও মাঠের বাণিজ্যিক ব্যবহারও হয়ে থাকে। কোনো কোনো মাঠে খেলাধুলা করতে টাকাও দিতে হয়। একাধিক পার্ক ও মাঠ অব্যবস্থাপনা ও অবহেলায় জর্জরিত। এছাড়া হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা ও আইন অমান্য করে পার্কের ভেতরেই ভবন তৈরি করে রাখা হয়েছে। বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি পার্কটি ‘বনানী স্পোর্টস এরেনা’ নামের ক্লাবের দখলে রয়েছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কটি ‘গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের’ দখলে রয়েছে। তমা কনস্ট্রাকশনের দখলে থাকা রামপুরা মাঠে খেলতে গেলে শিশুদের মারধর পর্যন্ত করা হয়। এমনকি মোহাম্মদপুর টাউন হলের কলোনি মাঠে হঠাৎই দেখলাম গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাইনবোর্ড। সেখানে তারা ১৬ তলা আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করবে। অথচ গত এক দশক ধরে জায়গাটি ডিএনসিসির মাঠ হিসেবে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ফার্মগেট এলাকার আনোয়ারা উদ্যান রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় সড়ক, পরিবেশ ও গণপূর্ত—এ তিন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা আশ্বাস দিলেন যে এ বছরের ২৬ মার্চের মধ্যে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সব নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার পথে। এখনো উদ্যানটি উন্মুক্ত করা হয়নি। এ উদ্যানটি পুনরুদ্ধারসহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক, রামপুরা মাঠ, চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠকে দখলমুক্ত করতে ডিএনসিসির প্রশাসককে বারবার বলার পরও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। একজন পরিবেশকর্মী প্রশাসক পেয়ে ঢাকাবাসীর কী উপকার হলো সেটি পরিমাপ করার সময় এসেছে।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার