Logo
Logo
×

জাতীয়

সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও যে কারণে গৃহকর্মীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

সিসিটিভি ফুটেজ থাকলেও যে কারণে গৃহকর্মীকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজেদের বাসায় মা-মেয়ে খুন হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত সেই নারী গৃহকর্মীকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। যার মূল কারণ, চার দিনই বোরকা পরে না হয় মুখ ঢেকে এসেছিলেন সেই নারী।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল সোমবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার চার দিন আগে বাসাটিতে গৃহকর্মীর কাজ শুরু করেন ওই নারী। চার দিনই বোরকা পরে, নয়তো মুখমণ্ডল ঢেকে তিনি বাসাটিতে আসা-যাওয়া করেন। 

তাই সিসিটিভি ক্যামেরায় তার চেহারা ধরা পড়েনি। খুনের শিকার মা-মেয়ে ছাড়া আর কেউ তার চেহারা দেখেনি। ফলে তার নাম-পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

গতকাল সকালে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বহুতল ভবনের সপ্তম তলায় নিজেদের বাসায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। 

ঘটনার সময় লায়লা আফরোজের স্বামী আজিজুল ইসলাম বাসায় ছিলেন না। স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার ঘটনায় ওই গৃহকর্মীকে একমাত্র আসামি করে গতকাল রাতে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন আজিজুল ইসলাম।

আজিজুল ইসলাম পেশায় শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় যান। কর্মস্থলে থাকাকালে স্ত্রীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বেলা ১১টার দিকে বাসায় ফেরেন। এসে দেখতে পান, তার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত-জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। 

আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এ অবস্থা দেখে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে অজ্ঞাত কারণে আসামি তার (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের শিকার মা–মেয়েকে আজ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। বেলা তিনটার দিকে নাটোর নবাব সিরাজ–উদ–দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। দুপুরের আগে তাঁদের মরদেহ এলাকায় পৌঁছালে একনজর দেখতে ছুটে আসেন আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা। 

এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার