Logo
Logo
×

জাতীয়

শর্তসাপেক্ষে বা শর্তহীনভাবে নির্বাচনে আ. লীগকে চান ৬৯ শতাংশ মানুষ

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

শর্তসাপেক্ষে বা শর্তহীনভাবে নির্বাচনে আ. লীগকে চান ৬৯ শতাংশ মানুষ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও কৌতূহল বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত এই রাজনৈতিক দলটিকে শর্তহীনভাবে অথবা বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে নির্বাচনে দেখতে চান প্রায় ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আওয়ামী লীগকে ভোটের মাঠে আর দেখতে চান না।

প্রথম আলোর উদ্যোগে পরিচালিত ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’ শীর্ষক এই জরিপটি বাস্তবায়ন করেছে কিমেকারস কনসাল্টিং লিমিটেড। দেশের ৫টি মহানগর এবং ৫টি গ্রাম বা আধাশহর এলাকা থেকে ১ হাজার ৩৪২ জন মানুষের মতামত নেওয়া হয়। গত ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও আয়ের মানুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, কোনো শর্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে, ২৬ শতাংশ মানুষের মতে, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শাস্তির বিধান কার্যকর হলে দলটি নির্বাচনে আসতে পারে। এ ছাড়া ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা মত দিয়েছেন যে, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

শর্তসাপেক্ষে বা শর্তহীনভাবে দলটিকে নির্বাচনে চাওয়ার হার ৬৯ দশমিক ২ শতাংশ হলেও, তাদের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করতে পারে বলে মনে করেন ৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ। জামায়াতে ইসলামী বেশি আসন পেতে পারে বলে ধারণা করছেন ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা। বিপরীতে মাত্র ৭ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ মনে করেন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারে।

জরিপে আরও দেখা যায়, মাত্র দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা শুধু শর্ত দিয়ে অংশগ্রহণের পক্ষে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন দশমিক ১ শতাংশ মানুষ। আর ২ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত মতামত জানাতে পারেননি।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই রায় দেওয়া হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধেও। এ ছাড়া পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট দুর্নীতিসংক্রান্ত পৃথক চারটি মামলায় ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে মোট ২৬ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকেও ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত বছরের ৫ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর চলতি বছরের মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত ১২ মে জারিকৃত সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার