উন্নত চিকিৎসায় অত্যাধুনিক সুবিধা যোগ হলো নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ এএম
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্নায়ু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১৫ তলা বিশিষ্ট (১২ তলা ও ৩ বেজমেন্ট) অত্যাধুনিক নতুন ভবনের সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই সম্প্রসারণের মাধ্যমে এটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের প্রথম সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন্ড সরকারি হাসপাতাল, যা স্নায়ুরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এই হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী গিয়াস উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।
নতুন ভবনের নকশা ও নির্মাণ প্রসঙ্গে স্থাপত্য অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রশংসা করে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এখন সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে তিনি রক্ষণাবেক্ষণে সমন্বিত উদ্যোগের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেন।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও রোগীবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, একই আউটসোর্সিং জনবলে অন্য হাসপাতালে যে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে না, নিউরোসায়েন্স সেখানে ব্যতিক্রম। ২০০৬ সালে অসচ্ছল পরিবেশে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশে মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
নতুন ভবনে রোগীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উন্নত অবকাঠামো যুক্ত হওয়ায় চিকিৎসা সেবার সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রসারিত ভবনে যুক্ত হয়েছে- সেন্ট্রাল এসি সিস্টেমযুক্ত পুরো ভবন, একতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত এস্কেলেটর, ৮টি প্যাসেঞ্জার বেড লিফট ও ২টি প্যাসেঞ্জার লিফট। এছাড়াও আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে এ ভবনে।
নতুন ভবনের ফ্লোরগুলোতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সেবা ও সমন্বিত অবকাঠামো। নিচের তিনটি বেজমেন্টে রয়েছে গামা নাইফ সুবিধা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই ইউনিট, কনসালট্যান্ট ও টেকনিশিয়ান রুম, অবজারভেশন এলাকা, রিপোর্ট কাউন্টার, জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, সেন্ট্রাল এসির চিলার, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, পানি সংরক্ষণাগার, স্টোররুম এবং পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং। গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে রিসেপশন, ১৪টি ওপি-ডি ডাক্তার কক্ষ, টিকিট কাউন্টার, ফার্মেসি ও আইপি-ডি লাউঞ্জ। প্রথম তলায় আছে ২৮টি ওপি-ডি ডাক্তার কক্ষ, রিপোর্ট কাউন্টার, চিকিৎসকদের ভিআইপি লাউঞ্জ, রোগীর অপেক্ষা স্থান ও স্ন্যাকস কর্নার। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে চিফ থেরাপিস্ট কক্ষ, ফিজিওথেরাপি ইউনিট, নার্স স্টেশন, ১০টি টেকনিশিয়ান রুম, ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, তিন ধরনের ক্যানটিন, ড্রাই কিচেন, সিএসএসডি ইউনিট (অটোক্লেভ/প্লাজমা/ইটিও) এবং স্টোর। সমগ্র ভবনজুড়ে এই সমন্বিত সুবিধাগুলো রোগীসেবা, নিরাপত্তা এবং হাসপাতাল পরিচালনাকে আরও দ্রুত, আধুনিক ও দক্ষ করে তুলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সম্প্রসারণের ফলে বছরে লক্ষাধিক রোগী বিশেষায়িত স্নায়ুরোগ চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ পাবে। বিশেষ করে গামা নাইফ, আধুনিক আইসিইউ এবং উন্নত ইমেজিং সুবিধা বাংলাদেশের নিউরোসায়েন্স সেবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এই হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী গিয়াস উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন।
নতুন ভবনের নকশা ও নির্মাণ প্রসঙ্গে স্থাপত্য অধিদপ্তর এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রশংসা করে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এখন সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে তিনি রক্ষণাবেক্ষণে সমন্বিত উদ্যোগের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেন।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও রোগীবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, একই আউটসোর্সিং জনবলে অন্য হাসপাতালে যে পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে না, নিউরোসায়েন্স সেখানে ব্যতিক্রম। ২০০৬ সালে অসচ্ছল পরিবেশে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশে মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
নতুন ভবনে রোগীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং উন্নত অবকাঠামো যুক্ত হওয়ায় চিকিৎসা সেবার সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রসারিত ভবনে যুক্ত হয়েছে- সেন্ট্রাল এসি সিস্টেমযুক্ত পুরো ভবন, একতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত এস্কেলেটর, ৮টি প্যাসেঞ্জার বেড লিফট ও ২টি প্যাসেঞ্জার লিফট। এছাড়াও আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে এ ভবনে।
নতুন ভবনের ফ্লোরগুলোতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সেবা ও সমন্বিত অবকাঠামো। নিচের তিনটি বেজমেন্টে রয়েছে গামা নাইফ সুবিধা, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ও এমআরআই ইউনিট, কনসালট্যান্ট ও টেকনিশিয়ান রুম, অবজারভেশন এলাকা, রিপোর্ট কাউন্টার, জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, সেন্ট্রাল এসির চিলার, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, পানি সংরক্ষণাগার, স্টোররুম এবং পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং। গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে রিসেপশন, ১৪টি ওপি-ডি ডাক্তার কক্ষ, টিকিট কাউন্টার, ফার্মেসি ও আইপি-ডি লাউঞ্জ। প্রথম তলায় আছে ২৮টি ওপি-ডি ডাক্তার কক্ষ, রিপোর্ট কাউন্টার, চিকিৎসকদের ভিআইপি লাউঞ্জ, রোগীর অপেক্ষা স্থান ও স্ন্যাকস কর্নার। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে চিফ থেরাপিস্ট কক্ষ, ফিজিওথেরাপি ইউনিট, নার্স স্টেশন, ১০টি টেকনিশিয়ান রুম, ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, তিন ধরনের ক্যানটিন, ড্রাই কিচেন, সিএসএসডি ইউনিট (অটোক্লেভ/প্লাজমা/ইটিও) এবং স্টোর। সমগ্র ভবনজুড়ে এই সমন্বিত সুবিধাগুলো রোগীসেবা, নিরাপত্তা এবং হাসপাতাল পরিচালনাকে আরও দ্রুত, আধুনিক ও দক্ষ করে তুলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সম্প্রসারণের ফলে বছরে লক্ষাধিক রোগী বিশেষায়িত স্নায়ুরোগ চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ পাবে। বিশেষ করে গামা নাইফ, আধুনিক আইসিইউ এবং উন্নত ইমেজিং সুবিধা বাংলাদেশের নিউরোসায়েন্স সেবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।