শিক্ষকদের ‘সম্মানজনক’ বেতনের সুপারিশ করবে পে-কমিশন
হতে পারে স্বতন্ত্র কাঠামোও
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩২ পিএম
স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক বেতন কাঠামোর সুপারিশ করবে জাতীয় বেতন কমিশন। শুধু তাই, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর সুপারিশ করতে পারে কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের সবাই ইতিবাচক বলে জানা গেছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) জাতীয় বেতন কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সব সদস্যরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়েছেন। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মতামত নেওয়ার সময় স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এ সংক্রান্ত মতামত কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির খানের কাছে জমা দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো কেবল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজন বিষয়টি এমন নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক, প্রাথমিকসহ সমগ্র শিক্ষা সেক্টরের বেতন স্বতন্ত্র কাঠামোতে আনার ব্যাপারে কমিশনের সবাই ইতিবাচক। তবে টাকার জোগার কীভাবে হবে তা নিয়ে সদস্যরা সন্দিহান। এ বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা হতে পারে। আলোচনা করে একটা উপায় বের করা যেতে পারে।’
ওই সদস্য আরও বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো রয়েছে। আমাদের স্কুল পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন অনেক কম। বিশেষ করে বেসরকারি পর্যায়ে। বিষয়গুলো বিবেচনা করে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করা হতে পারে। আলাদা বেতন কাঠামোর সুপারিশ করা সম্ভব না হলেও তাদের সম্মানজনক বেতনের সুপারিশ করবে কমিশন।’
পে-কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ এ সদস্য আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের সাথে আলোচনা করেছি। তাদের মতামতগুলো লিপিবদ্ধ করে কমিশনে জমা দিয়েছি। কমিশন বিভিন্ন সেক্টর থেকে সংগ্রহ করা মতামতগুলো বাছাই করে নোট করছে। সবগুলো নোট লিপিবদ্ধ করা শেষ হলে কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।’
এদিকে কমিশনকে নতুন পে স্কেলের জন্য সুপারিশ জমা দিতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে ওই সময়ের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করতে পারেনি কমিশন। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সমাবেশ থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের জন্য গেজেট প্রকাশ করে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে আগামী ১৭ ডিসেম্বর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে কর্মচারী সংগঠনগুলো।
প্রতিবেদন তৈরি ও দাখিল সময় বেধে দিয়ে হয় না মন্তব্য করে কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলমান। লেখালিখি চলছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সুপারিশ দাখিল করা হবে’। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ দাখিল করা সম্ভব কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি ওই সদস্য।