Logo
Logo
×

জাতীয়

বাংলাদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী কোথায় থাকবেন?

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম

বাংলাদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী কোথায় থাকবেন?

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন কোথায় হবে- এ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বেশ কিছু আলোচনা হলেও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এ লক্ষ্যে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের সরকারি বাসভবন একীভূত করে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন করার একটি প্রস্তাব ছিল।

তবে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় বিষয়টি ঝুলে গেছে।

আগে বিবেচনায় ছিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা এবং রাজধানীর হেয়ার রোডের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাংলো।

কিন্তু এ দু’টি স্থানের মধ্যেও কোনোটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সরকার।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আগামী নির্বাচনের পর গঠিত সরকার।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।’

গণভবনের বর্তমান অবস্থা:

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছিল গণভবন। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিনে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় গণভবন ভাঙচুরের পর সেটিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতেই থাকছেন।

উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ও সংশ্লিষ্ট জটিলতা

গত ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ বাসভবন নির্ধারণে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন পরিদর্শনও করেন। তবে সংসদ ভবন এলাকায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি করলে লুই আই কানের নকশা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা ওঠে।

এছাড়া স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন রূপান্তর করলে নতুন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার থাকবেন কোথায়- এই বাস্তব সমস্যাও সামনে আসে।

ফেব্রুয়ারি- মার্চে নির্বাচন শেষে নতুন স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব নিলে তাদের দ্রুত থাকার জায়গা নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে পড়বে।

আরেক প্রশ্ন হলো- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা টিমকেও কোথায় রাখা হবে?

তাদের জন্যও নতুন স্থাপনা প্রয়োজন হবে, যার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ।

এডিপিতে কোনো প্রকল্প নেই

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন নির্মাণের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের মূল এডিপি, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বা সংসদ সচিবালয়ের কোনো এডিপিতেই এ ধরনের প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে অদূর ভবিষ্যতে সংসদ ভবন এলাকায় নতুন বাসভবন নির্মাণ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী কোথায় থাকবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবে নতুন সরকারই। এখন কেবল প্রাথমিক আলোচনা চলছে, কিন্তু বাস্তবায়ন শুরু হয়নি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার