সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ এএম
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য তিন দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চলমান কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাস্তবায়ন পরিষদ ও সংগঠন ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ন্যায্য ৩ দফা দাবি আদায়ে বাস্তবায়ন পরিষদ এবং সংগঠন ঐক্য পরিষদের চলমান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা ও সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আগামী রবিবার থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। আগামী রবিবার থেকে সকল শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে। উভয় পরিষদের আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসংখ্য সহকারী শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখিয়ে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ আদেশের মাধ্যমে এই শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুনের সই করা অফিস আদেশে এই বদলির নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই বদলির তালিকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারাও রয়েছেন।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদকে নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরে বদলি করা হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সারাদেশে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন শিক্ষককে একইভাবে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু আমার জেলা নোয়াখালীতেই ৪০ জনকে বদলি করা হয়েছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে, অসংখ্য শিক্ষককে স্ট্যান্ড রিলিজের মাধ্যমে ভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে।
সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ জেলায় পদায়ন পেয়ে থাকেন এবং এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করার রেওয়াজ নেই। তবে শাস্তিমূলক বদলির ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয় এবং সে ক্ষেত্রে অফিস আদেশে ‘প্রশাসনিক কারণ’ উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশাসনিক কারণে এই বদলি করা হয়েছে। তবে ঠিক কতজনকে বদলি করা হয়েছে, সেই সংখ্যা তিনি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।