তারেক রহমান দেশে না ফেরার কারণ ও ব্যাখ্যা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার মধ্যে তাঁর বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে না ফেরায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যদি দেশে আসতেন, তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে হতো, মায়ের সঙ্গে লন্ডনে যাবেন, নাকি দেশে থাকবেন। যেকোনো অবস্থাতেই বাড়তি বিতর্ক তৈরি হতো। তাই তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ব্যক্তিগত অনুভূতি নয়, মায়ের সুস্থতা ও দেশের স্থিতির স্বার্থে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তারেক রহমানের কাছে বেগম জিয়া প্রথমে মা, তারপর নেত্রী। তাঁর মায়ের প্রতি ভালোবাসার সঙ্গে অন্য কারও ভালোবাসার তুলনা চলে না। তিনি যা করছেন, তা-ই মায়ের জন্য সর্বোত্তম।’
ফেসবুক পোস্টে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত সর্বশেষ অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন ড. মাহদী। তিনি জানান, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় সমন্বয় করছেন তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। ডা. জোবায়দা লন্ডন থেকে সব আয়োজন তদারকি করছেন এবং দ্রুত ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করছেন, যাতে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার পুরো প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে পারেন। ইতোমধ্যে লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বিল ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
ড. মাহদী লেখেন, ‘তারেক রহমান দেশে এলে নিরাপত্তা-সংকট, হাসপাতালের বিশৃঙ্খলা ও জনসমাগম চিকিৎসা–পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতো। লন্ডনে অবস্থান করেই তিনি আরও কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক চিকিৎসক, হাসপাতাল ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারছেন।’
তিনি দাবি করেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আবেগ নয়, বরং বাস্তবতা ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। খালেদা জিয়া লন্ডনে পৌঁছে স্থিতিশীল হলে তারেক রহমানও দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পোস্টের শেষাংশে ড. মাহদী দেশবাসীর উদ্দেশে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।