Logo
Logo
×

জাতীয়

আবু ত্বহার ফের বিয়ে বৈধ কি না, জানালেন আরেক ইসলামী বক্তা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ এএম

আবু ত্বহার ফের বিয়ে বৈধ কি না, জানালেন আরেক ইসলামী বক্তা

ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সাবিকুন নাহারের বিচ্ছেদের এক মাস পর পুনরায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাবিকুন নাহার।

এ বিয়ে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রশ্ন উঠেছে— বিশেষত এটি ইসলামসম্মত কি না। এ বিষয়ে ইসলামী বক্তা ও প্রিজনার্স রাইট মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী জানান, তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ শরিয়তসম্মত। তিনি বলেন, যেহেতু তাদের মধ্যে ‘খোলা তালাক’ হয়েছিল, তাই স্ত্রী আগের স্বামীর কাছে ফিরে আসতে চাইলে নতুন করে মোহর ধার্য করে যথাযথ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুনর্বিবাহ করলেই তা বৈধ হয়। এ ক্ষেত্রে ইদ্দত পালন বা অন্য কারও সঙ্গে বিবাহ-তালাকের প্রয়োজন নেই।

ব্যক্তিগত পোস্টে সাবিকুন নাহার লেখেন, হয়তো তাকদিরই তাঁদের আবার এক করেছে। তিনি আরও জানান, তাঁদের সন্তান উসমান ও আয়িশা এখন বাবা-মাকে ফিরে পেয়েছে বলে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

আবু ত্বহার সঙ্গে আলাদা হয়ে ফের কিভাবে একসঙ্গে হলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন, দুনিয়াটা ক্ষণস্থায়ী। পুরোদস্তুর ধোঁকা, নিখাঁদ এক প্রতারণা। কত দিনই আর বাঁচব আমরা এই দুনিয়ায়? অনন্ত পরকালের চুলচেড়া হিসাব আর চিরস্থায়ী জান্নাতের সাফল্যই যে সব! সেই সাফল্যের ভিখারি হয়েই আজ কথাগুলো লিখছি। কে কী ভাববে? কে কী বলবে? কী হবে আর কী না হবে এসবেরও বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই।’

বাচ্চারা বাবা-মাকে খোঁজে— এমনটা জানিয়ে সাবিকুন নাহার লিখলেন, ‘প্রতিনিয়ত আয়িশা তার বাবাকে খোঁজে! বাবা যাব! বাবা গাড়ি! বাবা কই? শব্দগুলোর ওজন উঠানোর কোনো পরিমাপক মহাবিশ্বে নেই। উসমানও মাকে পাচ্ছে না। উসমানের সামনে অন্যরা তাদের মায়ের নিকট আম্মু বলে ছুটে যাচ্ছে। অন্যদিকে নির্লিপ্ত চাহনিতে উসমানের প্রশ্ন তার আম্মুর কাছে কখন নিয়ে যাবে?’

বিচ্ছেদ ও পূর্বের ঘটনা প্রসঙ্গে সাবিকুন নাহার বলেন, ‘যা ঘটে গেছে তার অনিবার্য পরিণতি যে এটাই তা হয়তো আমরা জানতাম, তবে জানা আর প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করা যে কখনোই এক নয়! ইলমুল ইয়াক্বিন আর হাক্কুল ইয়াক্বিনে আছে আকাশসম ফারাক। জানা বিষয়টি উপলব্ধি করেছি আমরা। বেশাক আমাদের ভুল ছিল। কিছু ভুল বুঝেছি, বোঝানোও হয়েছে! উসমানের বাবার প্রতি প্রগাঢ় মুহাব্বাত থেকেই অস্থির হয়েছি, কিছু রাগ, জেদ ও সীমালঙ্ঘনও হয়ে গেছে! সাথে মানুষ ও জিন শয়তান, বিচ্ছেদের জাদু কি না ছিল?’

সাবিকুন নাহার বলেন, ‘হয়তো এভাবেই আমাদের ভাগ্য লেখা হয়েছিল। তাকদিরের কাছে তো অনেক বড়রাও অসহায় ছিলেন, যেমন গ্রহণের সময় নিরূপায় থাকে চাঁদের আলো। তাই বলে কি চাঁদ কস্মিনকালেও কলঙ্কিত? সে যে আজন্ম আমার চাঁদ-ই ছিল! দুরাচার শয়তান সঠিক সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে বারবার! শুভ্র, স্বচ্ছ, সুন্দরে, চিন্তায় ইবলিসকে তাই ঠাঁই দিইনি আর। ফা লিল্লাহিল হামদ! অতঃপর... আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। উসমান ও আয়িশা তাদের বাবা-মাকে ফিরে পেয়েছে! আল্লাহুম্মা লাকাল হামদ।’

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার