বাউল শিল্পী সোনিয়ার পরকীয়ার বলি হলেন স্বামী
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ পিএম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুমন খলিফা খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী বাউল শিল্পী সোনিয়া আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ফতুল্লার চানমারী এলাকায় নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফ (৪২), সোনিয়া আক্তার (২২), তাদের সহযোগী আব্দুর রহমান (২৮), বিল্লাল হোসেন (৫৮), আলমগীর হাওলাদার (৪৫) ও নান্নু মিয়া (৫৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, ১ ডিসেম্বর ফতুল্লার চর কাশিপুর মধ্য নরসিংপুর এলাকায় ৩৫ বছর বয়সি এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এদিন সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে লাশটি শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, সুমন খলিফা বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার আন্দারমানিক গ্রামের মন্টু খলিফার ছেলে। তিনি স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে (২২) নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকার নজরুল ওসির বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর সুমন খলিফার স্ত্রী সোনিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি জানান, দুই মাস আগে বিভিন্ন ক্লাবে বাউল গান গাইতে গিয়ে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকার আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে মেহেদী হাসান ওরফে ইউছুফের (৪২) সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর অভাব-অনটনের সংসারে টাকাপয়সা ধার-দেনা করা হতো। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এছাড়া তাদের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কও হয়। বিষয়টি জানতে পারলে সুমনের সঙ্গে সোনিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে সুমনকে তাদের পথের কাঁটা হিসেবে হত্যার পরিকল্পনা করেন মেহেদী।
তিনি আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুমনের বাবা মন্টু খলিফা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লায় থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং গ্রেফতারদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।