Logo
Logo
×

জাতীয়

চাকরি চলে যেতে পারে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম

চাকরি চলে যেতে পারে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি ও তালাবদ্ধ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা নেওয়া সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন করবেন। অন্যথায় শৃঙ্খলা-বিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে সর্বনিম্ন শাস্তি হিসেবে তিরস্কার এবং সর্বোচ্চ চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধান রয়েছে। এছাড়া লঘু ও গুরু দণ্ডের মধ্যে বেতন স্থগিতকরণ, পদোন্নতি স্থগিতকরণ, নিম্ন পদে অবনমিতকরণ ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ আদায়ের সুযোগ রয়েছে।

সহকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো মূলত ১১তম গ্রেডে বেতন, ১০ ও ১৬ বছর চাকরির পর উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তি এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি সংক্রান্ত। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা এবং বেতন কমিশনের সভাপতির সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।

মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, এসব উদ্যোগের পরও কিছু সংগঠন বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধা দিয়েছে এবং পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটিয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে এ ধরনের কর্মসূচি আইন ও আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী।

সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটির বেশি। শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬টি, বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন।

সহকারী শিক্ষকরা বিভিন্ন দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের মূল তিন দাবি হলো সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদান, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরের পর উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসন এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার