Logo
Logo
×

জাতীয়

ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার চট্টগ্রাম প্রবাসীদের এইডস ছড়িয়েছে বেশি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১১ এএম

ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার চট্টগ্রাম প্রবাসীদের এইডস ছড়িয়েছে বেশি

চট্টগ্রামে এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণ কমেছে। তবে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর তুলনায় স্থানীয় এবং প্রবাস থেকে আসা মানুষের মধ্যে বেড়েছে সংক্রমণ।

চমেক সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর থেকে পূর্ববর্তী এক বছরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৫ জন। তাদের মধ্যে স্থানীয় ২৬ জন, প্রবাস থেকে ২০ জন।

এইডস বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১ ডিসেম্বর এইডস দিবস পালিত হয়। এই দিবসের আগে চমেক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেল।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) এআরটি সেন্টারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-এর নভেম্বর থেকে ২০২৪-এর অক্টোবর পর্যন্ত এইডসে আক্রান্ত হয় ৮৪ জন, মারা যায় ১১ জন। গত অক্টোবর থেকে পূর্ববর্তী এক বছরে আক্রান্ত হয়েছে ৭৫ জন। মারা গেছে ১৩ জন।

চমেক সূত্র জানায়, গত এক বছরে সন্ধিগ্ধ ৩ হাজার ৭৬৬ জনকে পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ৭৫ জনের শরীরে নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্ত হয়। গত বছর মারা যাওয়া ১৩ জন রোগী এসেছিল অত্যন্ত খারাপ অবস্থা নিয়ে এবং ওষুধ শুরুর আগেই তাদের মৃত্যু হয়।

আক্রান্ত ৭৫ জনের সংক্রমণের উৎস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণকারী গোষ্ঠীর চেয়েও সাধারণ জনগণ ও প্রবাসী বেশি আক্রান্ত হয়েছে এইডসে।

আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ মানুষ ২৬ জন, প্রবাসী ২০ জন, পুরুষের সঙ্গে মিলিত হয়ে আক্রান্ত হয় ১৫ জন, যৌনকর্মী ১ জন, স্বামী থেকে স্ত্রী আক্রান্ত হয় ১২ জন ও শিশু ১ জন।

অন্যদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা ৫৩ জন, কক্সবাজারের বাসিন্দা ৪ জন, ফেনীর ৭ জন, রাঙামাটির ২ জন এবং কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর ও নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা রয়েছে ১ জন করে। পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, শনাক্তের ৬১ শতাংশের বেশি এসেছে সাধারণ জনগোষ্ঠী এবং প্রবাসীদের মধ্য থেকে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের তত্ত্বাবধানে অ্যান্টি-রিক্টোভাইরাল থেরাপি সেন্টারে (এআরটি) এইডস রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান ডা. জুনায়েদ মাহমুদ খান বলেন, ‘নিয়মিত ওষুধ সেবন ও ফলোআপের মাধ্যমে রোগী সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।

সরকারিভাবে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এইচআইভি এখন নিয়ন্ত্রণযোগ্য।’ তিনি আরও বলেন, হাঁচি, কাশি কিংবা একই পাত্রে খাবার খেলে এইচআইভি ছড়ায় না। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ, ব্যবহৃত সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার এবং অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার