Logo
Logo
×

জাতীয়

সীসা বারে হত‍্যাকাণ্ডের জের, চাঁদার হার দ্বিগুণ করেছেন বনানীর ওসি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম

সীসা বারে হত‍্যাকাণ্ডের জের, চাঁদার হার দ্বিগুণ করেছেন বনানীর ওসি

বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এ কে এম মঈন উদ্দিন বিরুদ্ধে মোটা অংকের মাসিক ঘুষের বিনিময়ে আইন, নিয়ম বা বিধি দ্বারা অনুমোদিত নয় স্পা ও সীসা বার পরিচালনার সহযোগীতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্পা ও শিশা বার ব্যবসার আড়ালে মাদক বাণিজ্য ও অসামজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে রাজধানীর অভিযাত এলাকায়। টাকা উদ্ধার ও জমি সংক্রান্ত বিষযগুলো পুলিশ সদর দপ্তর এর কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও মামলার ভয় দেখিয়ে থানায় আটকে রেখে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ায়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া কড়াইল বস্তির মাদক কারবারিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করার অভিয়োগও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে। সন্ধ্যা বা দিনের বেলায় কড়াইল বস্তির স্পটেগুলোতে মাদক বেচাকেনা চলে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার সময় ভালো পোস্টিং থাকলেও রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি বনে যাওয়ার অভিয়োগ পাওযা গেছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সূত্র জানায়, বনানী ‘৩৬০ ডিগ্রি সিসা লাউঞ্জে’ ছাড়াও কিউডিএস,৩২ডিগ্রী, সেলসিয়াস, আরগিল লাউন্জ, এস্কেটিক লাউঞ্জ নামে কয়েকটি অর্বৈধ্য সীসা বার রয়েছে। রাজধানীতে সীসা বারের আড়ালে হরহামেশা চলছে ভয়ংকর মাদক সেবন। মদ, গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকারের ব্যবহার হয় এসব বারে। ধনীর দুলাল-দুলালিরা রাত গভীর হলেই বিনোদনের জন্য এসব সীসা বারে ভিড় করে। সেখানে চলে অসামাজিক কার্যক্রম।

বনানী ‘৩৬০ ডিগ্রি সিসা লাউঞ্জে’ এর রাহাত হোসেন রাব্বী নামের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার পর এ কে এম মঈন উদ্দিনের "ভাগ্য খুলে যায়। প্রভাব খাটিয়ে বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এ কে এম মঈন উদ্দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়ে দেয়। এরপর সবগেুলো অবৈধ্য সীসা বারগুলোতে মাসিক মাসোয়ারার রেট দিগুণ করে দেয়। অভিযোগ রয়েছে প্রতিটি সিসা বার থেকে মাসে তিন থেকে চার লাখ ঘুষ নেন তিনি।

সীসা বার সূত্রগুলো জানিয়েছে, মঈন উদ্দিন ঘুষের টাকাগুলো তার "টাকাগুলো তার ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নাম করে নিয়ে আসে।

বনানীতে রয়েছে কয়েকটি স্পা সার্ভিস। সেগুলো হল আলোরী স্পা প্রিমিয়াম, স্পা সারিনি ও থাই ম্যাসেজ, হ্যাপি হাওয়ার স্পা, বনানী স্পা, ব্লিস স্পা বনানী, ঢাকা বডি কুইন স্পা, সার্ভিস এন্ড বডি ম্যাসেজ স্পা, গুলশান রোজ স্পা, জি স্পা বনানী সিন্গেচার ওয়ান ওয়ে থাই স্পা, স্পা অ্যান্ড স্পাগুলোতে চলে অসামাজিক কার্যক্রম। সবগুলো স্পার নেই কোন অনুমোদন। এ কে এম মঈন উদ্দিন মাসিক মাসোয়ারার নিয়ে অসামাজিক কার্যক্রম চালনোর অনুমোদন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্পাগুলো থেকে মাসে চার লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিয়োগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, বনানীর একাধিক স্পা সেন্টার ও সীসা বার ব্যবহার করে একটি মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। এই অবৈধ ব্যবসায় অল্প বয়সী তরুণীদের ব্যবহার করা হয় বলেও জানা যায়।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে মানবপাচার অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইজিপিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিয়োগ পাওয়া গেছে মোটা অংকের টাকার ঘুষের বিনিময়ে এ কে এম মঈন উদ্দিন তাকে ছেড়ে দেয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কথা অমান্য করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। (১৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে তাকে আদালতে তলব করা হলে ঘটনা স্বীকার করে লিখিত ও মৌখিকভাবে আদালতে ক্ষমা চান ওসি মো. রাসেল সরোয়ার।

মামলা বাণিজ্য, বিচারপ্রার্থীর সঙ্গে খারাপ আচরণ, হুমকি-ধামকি দিয়ে টাকা আদায়সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে থানায় আটকে রেখে লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ মাদক কারবারিদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়ার অভিযোগ করেন তারা। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার