বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা শিক্ষকদের, সতর্ক করলো অধিদফতর
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
তিন দফা দাবিতে লাগাতর কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষাও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে বার্ষিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণে কোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) এ কে মোহাম্মদ সামছুল আহসানের সই করা চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠিটি সব বিভাগীয় উপ-পরিচালক এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম বিনা ব্যর্থতায় নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষক বা কর্মকর্তার কোনো প্রকার শৈথিল্য বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী শিক্ষকরা প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ডাকে তিন দফা দাবিতে লাগাতর কর্মবিরতি করছেন। পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করেছি। আজকের মধ্যে দাবি পুরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আমরা পরীক্ষা বর্জন করবো।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সারাদেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সহকারী শিক্ষক। প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তারা এ নিয়ে অসন্তুষ্ট। গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।