Logo
Logo
×

জাতীয়

সাবেক স্বামীর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নারী উদ্যোক্তা তনি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

সাবেক স্বামীর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নারী উদ্যোক্তা তনি

আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির বিরুদ্ধে তার সাবেক স্বামী সদরুল ইসলাম সোয়েব একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। সোয়েব দাবি করেছেন, তনি তার একমাত্র সন্তান মানতাহা ইসলাম সানভীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়াবাজার এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগটি উত্থাপন করেন তিনি।

২০১৩ সালের ২৮ জুন সদরুল ইসলাম সোয়েবের সঙ্গে বিয়ে হয় রোবাইয়াত ফাতিমা তনির। তাদের সংসারে জন্ম নেয় একমাত্র কন্যা, মানতাহা ইসলাম সানভী। তবে ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দাম্পত্য জীবনে অশান্তি সৃষ্টি হলে তারা আলাদা হয়ে যান। বর্তমানে সানভীর বয়স ১১ বছর।

সংবাদ সম্মেলনে সোয়েব দাবি করেন, তাদের বিচ্ছেদের পর আদালতের শর্ত অনুযায়ী, সানভী তার মায়ের কাছেই বড় হচ্ছে। তবে, তনি তাকে বাবার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিচ্ছেন না এবং ঢাকায় আটকে রেখেছেন। এ ছাড়া, তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, রোবাইয়াত ফাতিমা তনি তার মেয়ে সানভীকে নিয়ে ইংল্যান্ড চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

সোয়েব বলেন, এটা একেবারেই অমানবিক। মায়ের জিম্মায় থাকা শিশুকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিদেশে পাঠানো যাবে না। আমি চাই, আমার মেয়ে মুক্তভাবে তার বাবার সঙ্গে সময় কাটাক।

সোয়েব আরও অভিযোগ করেন যে, তনি সানভীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজেভাবে উপস্থাপন করছেন। এর ফলে শিশুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, তনি শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেই আমাদের সন্তানকে ভাইরাল করছেন।

এ বিষয়ে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি জানান, সানভী তার মায়ের কাছেই বড় হচ্ছে এবং কখনও তাকে আটকিয়ে রাখা হয়নি। তনি বলেন, মেয়ে আমার কাছে থাকলে তাকে আটক বলা যায় না। এটা ছিল আমাদের পারস্পরিক সমঝোতা। মেয়ের বাবা নিজেই বলেছেন, তার মেয়ে বাবার কাছে ছুটিতে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সানভী এখন বড় হয়ে গিয়েছে এবং ভাল স্কুলে পড়াশোনা করছে। তার নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। সে গ্রামে যেতে চায় না, তাই তাকে জোর করে পাঠানো যাবে না। তবে যদি সে চাইলে অবশ্যই বাবার কাছে যেতে পারবে।

ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মেয়ে সানভীকে ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করে রোবাইয়াত ফাতিমা তনি বলেন, আমি নিজে একজন প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা। আমার দেশের বেশ কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে। আমাকে বা আমার সন্তানকে ভাইরাল হওয়ার প্রয়োজন নেই।

বিদেশে স্থায়ী হওয়া বা মেয়েকে জোর করে বিদেশে পাঠানোর অভিযোগেও তিনি কোনো ভিত্তি খুঁজে পাননি। তনি বলেন, আমি দেশে স্থায়ী, এখানেই আমার সব ব্যবসা রয়েছে। আমি একা এতোগুলো ব্যবসা দেখাশোনা করি, বাইরে গিয়ে স্থায়ী হতে চাই না। তবে, যদি ভবিষ্যতে আমার মেয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চায়, তা হলে আমি তাকে সেভাবে সহায়তা করবো।

সাবেক স্বামীর অভিযোগের পর গত ২৪ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের ১নং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এজাহার দাখিল করেছেন সদরুল ইসলাম সোয়েব। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে।

রোবাইয়াত ফাতিমা তনি অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন এবং বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা আইনি পথে এর জবাব দেবো।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার