বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষকদের যে আশ্বাস দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়টি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সাথে আলোচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া আসন্ন বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের সুযোগ দেওয়া যায় কি না সে বিষয়টিও বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) আন্দোলনরত শিক্ষকদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার পর এমন আশ্বাস দেন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমান। এ সময় প্রার্থীদের কাছ থেকে লিখিত আবেদনও জমা নেন তিনি।
আন্দোলনকারী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের দেশে ফেরার পর আন্দোলনরত ১৮তম নিবন্ধনধারীদের নিয়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে গিয়ে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আলোচনা করার প্রস্তাব দেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের বদলির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা সচিব রেহানা পারভীনও তাগাদা দিয়েছেন। যাদের বদলি বেশি জরুরি, বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের বিষয়টি বিকল্প কোনো উপায়ে সমাধান করা যায় কিনা সেটিও ভেবে দেখা হচ্ছে। আলাদা গণবিজ্ঞপ্তি কিংবা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্তদের আবেদনের সুযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি।’
এ বিষয়ে ‘ইউনিটি অব টিচার্স’-এর প্রধান সংগঠক ও মুখপাত্র এ এইচ বাবলু বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ আমাদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা শিগগিরই এনটিআরসিএতে গিয়ে আলোচনা করব।’
জানা গেছে, এনটিআরসিএর সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের আগে বদলির কোনো সুযোগ ছিল না। প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে তারা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। প্রথম থেকে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা এই সুযোগ পেলেও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের আবেদন করার সুযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি বদলি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়। তবে শিক্ষকদের এক পক্ষের রিট, সফটওয়্যার প্রস্তুত না হওয়া, নীতিমালা সংশোধনসহ একাধিক কারণে এখনো বদলি কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ অবস্থায় নিজ বাড়ির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে বদলির সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে আন্দোলন করলেন শিক্ষকরা।