হলফনামায় মিথ্যা তথ্য থাকলে খতিয়ে দেখবে দুদক: কমিশনার
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৫ এএম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের হলফনামা চাইবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন দুদক কমিশনার।
সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনপূর্ব সময়ে হলফনামায় সম্পদ বিবরণীতে কোনো মিথ্যা তথ্য থাকলে দুদক সেটা দেখবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই দেখবে। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান মহোদয় নির্বাচন কমিশনের কাছে একটার পর একটা রিকুইজিশন দিচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ যেন তাদের হলফনামার কপি আমাদের পাঠানো হয়। আমরা ট্যালি করে নেবো নির্বাচনের আগে তিনি কতটুকু সম্পদের অধিকারী ছিলেন, আর পরে কতটুকু বেড়েছে।
দুদকের মামলায় কম সাজা হয় সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে কমিশনার বলেন, এখানে আপিলের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, আমরা আপিল করছি কি না। এটি শুনে আপনারা খুশি হবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় যেটা অনারেবল হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, দুদক সেটারও আপিল করেছে এবং সে আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলাফল যা হবে সেটার জন্য দায়বদ্ধতা আমাদের না। কিন্তু কোর্ট যদি দেখেন সেখানে কোনো সাবস্ট্যান্স নেই, নিশ্চয়ই ডিফেন্সের দিকেই যাবে ফলাফল।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় কথা হলো, আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা টালবাহানা করেছেন কি না- আমাদের আইনজীবীরা জ্ঞানতভাবে টালবাহানা করেননি। আমাদের আইন অনুবিভাগে যিনি মহাপরিচালক, তিনি একজন সিনিয়র জেলা জজ। অতি সম্প্রতি তারই স্বামী মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হয়েছেন। সুতরাং তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন।
আদালতের সংখ্যা কম হওয়ায় কাক্ষিত ফলাফল মিলছে না বলে জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, এত অভিযোগ, কিন্তু সেই তুলনায় ‘এক্সিকিউশনের’ ফলাফল এত কম কেন। এর সহজ উত্তর হলো, মাননীয় আদালতের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। আপনারা শুনলে কষ্ট পাবেন যে ঢাকা- দেশের রাজধানী সেই মহানগরে আমাদের বিশেষ জজ আদালতের সংখ্যা মাত্র ১১টি। ১১ জন বিচারকের পক্ষে কি এতগুলো মামলার রায় তারা যদি সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ না করেন তবুও সম্ভব না? সুতরাং প্রয়োজন আদালতের সংখ্যা বাড়ানো।
তিনি বলেন, আদালতের সংখ্যা না বাড়লে ডিসপেনসেশন যেমন তেমনই থাকবে, ব্যাকলগও থাকবে। কুইক ডিসপেনসেশনের জন্য অবশ্যই আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে যতটুকু আমি জানি, আইন উপদেষ্টা খুব আন্তরিক এবং প্রধান বিচারপতি ও মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এই তিনজন নিরলসভাবে আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এটা একটা ভালো বার্তা।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো আপিল করার ক্ষেত্রে সত্যি সত্যিই আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তো আইনের বিধান আছে। আমরা তামাদি খণ্ডনের জন্য আবেদন করে আপিল করি এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আমাদের তামাদি খণ্ডনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলেই বার্জ মাউন্টেন মামলা আবার বিচারে ফিরে এসেছে। আমরা আপিল করেছি, সেই কারণে মামলাটি এখন বিচারে ফিরে এসেছে। সুতরাং, আমরা চোখ বন্ধ করে বসে নেই।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন দুদক কমিশনার।
সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনপূর্ব সময়ে হলফনামায় সম্পদ বিবরণীতে কোনো মিথ্যা তথ্য থাকলে দুদক সেটা দেখবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই দেখবে। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান মহোদয় নির্বাচন কমিশনের কাছে একটার পর একটা রিকুইজিশন দিচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ যেন তাদের হলফনামার কপি আমাদের পাঠানো হয়। আমরা ট্যালি করে নেবো নির্বাচনের আগে তিনি কতটুকু সম্পদের অধিকারী ছিলেন, আর পরে কতটুকু বেড়েছে।
দুদকের মামলায় কম সাজা হয় সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে কমিশনার বলেন, এখানে আপিলের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, আমরা আপিল করছি কি না। এটি শুনে আপনারা খুশি হবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় যেটা অনারেবল হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, দুদক সেটারও আপিল করেছে এবং সে আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলাফল যা হবে সেটার জন্য দায়বদ্ধতা আমাদের না। কিন্তু কোর্ট যদি দেখেন সেখানে কোনো সাবস্ট্যান্স নেই, নিশ্চয়ই ডিফেন্সের দিকেই যাবে ফলাফল।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় কথা হলো, আমাদের বিজ্ঞ আইনজীবীরা টালবাহানা করেছেন কি না- আমাদের আইনজীবীরা জ্ঞানতভাবে টালবাহানা করেননি। আমাদের আইন অনুবিভাগে যিনি মহাপরিচালক, তিনি একজন সিনিয়র জেলা জজ। অতি সম্প্রতি তারই স্বামী মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হয়েছেন। সুতরাং তারা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন।
আদালতের সংখ্যা কম হওয়ায় কাক্ষিত ফলাফল মিলছে না বলে জানান তিনি।
কমিশনার বলেন, এত অভিযোগ, কিন্তু সেই তুলনায় ‘এক্সিকিউশনের’ ফলাফল এত কম কেন। এর সহজ উত্তর হলো, মাননীয় আদালতের সংখ্যা নিতান্তই অপ্রতুল। আপনারা শুনলে কষ্ট পাবেন যে ঢাকা- দেশের রাজধানী সেই মহানগরে আমাদের বিশেষ জজ আদালতের সংখ্যা মাত্র ১১টি। ১১ জন বিচারকের পক্ষে কি এতগুলো মামলার রায় তারা যদি সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ না করেন তবুও সম্ভব না? সুতরাং প্রয়োজন আদালতের সংখ্যা বাড়ানো।
তিনি বলেন, আদালতের সংখ্যা না বাড়লে ডিসপেনসেশন যেমন তেমনই থাকবে, ব্যাকলগও থাকবে। কুইক ডিসপেনসেশনের জন্য অবশ্যই আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে যতটুকু আমি জানি, আইন উপদেষ্টা খুব আন্তরিক এবং প্রধান বিচারপতি ও মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল এই তিনজন নিরলসভাবে আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এটা একটা ভালো বার্তা।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো আপিল করার ক্ষেত্রে সত্যি সত্যিই আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তো আইনের বিধান আছে। আমরা তামাদি খণ্ডনের জন্য আবেদন করে আপিল করি এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আমাদের তামাদি খণ্ডনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলেই বার্জ মাউন্টেন মামলা আবার বিচারে ফিরে এসেছে। আমরা আপিল করেছি, সেই কারণে মামলাটি এখন বিচারে ফিরে এসেছে। সুতরাং, আমরা চোখ বন্ধ করে বসে নেই।