‘সব গেছে গা বাবা, পড়নের এই কাপড় ছাড়া কিচ্ছু নাই’
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ পিএম
পানি সংকটের কারণে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসে কর্মীদের। ঘটনাস্থলে সংস্থাটির ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ অবস্থায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে কড়াইল বস্তির অনেক ঘর। স্বল্প আয়ের মানুষদের ঘর পুড়ে যাওয়ার কারণে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা ২০ মিনিটের দিকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ১০ বছর আগের আগুনে সব হারানোর পর আবার তিন লাখ টাকা জোগাড় করে ধীরে ধীরে নতুন করে ঘর গুছিয়েছিলেন বেতের সামগ্রী বিক্রেতা জামিরুন। কিন্তু সাম্প্রতিক আগুনে আবারও তার সব কাপড়–চোপড় পুড়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সব গেছে গা বাবা, পড়নের এই কাপড় ছাড়া কিচ্ছু নাই। ১০ বছর আগে একবার পোড়া গেছে। এরপর এ ১০ বছরে আস্তে আস্তে বাড়ি থেকে টাকা তিন লাখ নিয়া আইয়া সব কিনছিলাম। গুছাইয়া উঠতে উঠতে আবার আজকে আগুনে সব পুড়ে গেছে। এখন আমি কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না।
জানা গেছে, আগুনে দৌড়াদৌড়ি করে জিনিসপত্র বের করতে গিয়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এক নারী ও শিশুর নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বউবাজার রোড থেকে বেলতলা রোড পর্যন্ত যানজট তৈরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়িগুলো আগুনের কাছে পৌঁছাতে পারেনি। দূর থেকে পাইপ টেনে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক জায়গায় বস্তির দেয়াল ভেঙে পথ তৈরি করতে হয়।
এর আগে, ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ১৯টি ইউনিট কাজ করছে।