নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে গত ২৭ জুলাই জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করা হয়। এরপর গত ১ থেকে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছে।
কমিশনের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সরকারে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, কর্মচারী নেতারা কমিশনকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দিলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। একইসঙ্গে পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মচারীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন।
এমন অবস্থায় নতুন পে-স্কেল প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছেন পে কমিশনের সদস্যরা। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে সব সচিব সভায় উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে সচিবদের নিয়ে আবারও আলোচনা হবে।
কবে নাগাদ সুপারিশ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আলোচনা শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দিতে পারব বলে আশা করছি।
এই দ্রুত রিপোর্টের আশ্বাসের মধ্যেও নতুন বেতন কাঠামোর বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর চূড়ান্ত পে কমিশন গঠিত হবে। বর্তমান সরকার কেবল একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, কিন্তু এর বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী সরকার।