Logo
Logo
×

জাতীয়

‘শিক্ষকদের জন্য একটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হওয়া দরকার’

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৫ এএম

‘শিক্ষকদের জন্য একটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হওয়া দরকার’

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষা সংস্কারের নতুন ভাবনা তুলে ধরেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলছে, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সোমবার ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষা সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সভাটি আয়োজন করা হয় দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ‘আপনার মতামত, আমাদের ইশতেহার’ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায়।

সভায় দলের শিক্ষা সংস্কার ভাবনা উপস্থাপন করেন তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য সচিব আতিকুল বারী চৌধুরী।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা হলো, বাংলাদেশে একটা উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করা, যেটার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে সুযোগের সমতা তৈরি হবে, সম্পদের বণ্টনের অধিকতর ন্যায্যতা তৈরি হবে এবং আরো অধিকতর সমতাভিত্তিক সমাজের পথ তৈরি হবে। এই পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ একটা শিক্ষার পুনর্বাসনের পরিকল্পনা আমরা হাজির করতে চাই। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একদিকে মানবিক জনগোষ্ঠী তৈরি করা ও অন্যদিকে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা, দুটো কাজই খুব জরুরি এবং দুটোই বর্তমানের চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে আমাদের করতে হবে।’

শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত শিশুর শিক্ষাকে রাষ্ট্রের খাতে আনতে হলে যেমন বাজেটের প্রয়োজন আছে, এক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থার নীতি-কাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে হবে।’

শিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদাকে একটা সুনির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড় করাতে হবে। শিক্ষকদের জন্য একটা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল হওয়া দরকার। একেবারে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং তাদের মর্যাদার কাঠামো তৈরি করতে হবে।’

সভায় অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘গণশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। দেশের সব মানুষকে যদি মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায়, তাহলে দেশের উন্নয়নের কাজ কঠিন হবে না। কারণ মানুষ জানবে কী করলে কী হয়, সে কী করতে পারে এবং তার দক্ষতাকে কোথায় ব্যবহার করতে পারে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা বলেন, ‘শিক্ষার সাথে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে রাজনীতির। ৫ই আগস্টের ঘটনার পর বিষয়টি শিক্ষাকেন্দ্রিক না হয়ে রাজনৈতিক হয়ে গেছে। শিক্ষার সাথে যুক্ত হয়েছে বাণিজ্য। এই দেশে শিক্ষা মানে এখন বাণিজ্য, ব্যবসা। কিন্তু শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল সত্য অন্বেষণ।’

সভাপতির বক্তব্যে জিএসএস-এর নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য আমরা এসব আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষজ্ঞদের মতামত ও জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ইশতেহার তৈরি করা হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক ও মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান, শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক আবুল হাসনাত কবির, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মনযূরুল হক, লেখক ও শিক্ষক সফিক ইসলাম ও আমাদের পাঠশালার প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার