সচিবালয়ের নতুন ভবনে ফাটল, ভূমিকম্প আতঙ্কে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২২ এএম
শত শত কোটি টাকায় নির্মিত প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবন উদ্বোধনের এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করেন। ভূমিকম্পের কারণে ফাটল হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ফাটলের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, পশ্চিম উত্তর প্রান্তে নতুন নির্মিত এক নম্বর ভবনে ইটের নির্মিত ৫ ইঞ্চি দেয়ালের কিছু কিছু স্থানে ফাটল ধরেছে। অন্য কয়েকটি ভবনেও এমন ফাটল রয়েছে। এটি ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। শিগগির এ ফাটল মেরামত করা হবে।
এর আগে, ‘সচিবালয়ে ২০ তলাবিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। ৪৬১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্টসহ ২০ তলা সুপার স্ট্রাকচার বিশিষ্ট অফিস ভবনের নির্মাণকাজ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়। পরে চলতি বছরের মে মাসে এ ভবনের কার্যক্রম শুরু করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ভূমিকম্পের পরে ১ নম্বর ভবনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০ তলায় ৯৩০ নম্বর কক্ষের দরজার নিচের দিকে উত্তর পাশের দেয়ালে বড় ধরনের ফাটল রয়েছে। পলেস্তরা অনেকটাই খসে পড়ে গেছে। এ ছাড়া দশম তলায় ১০০ নম্বর কক্ষের সামনের দেয়ালের মাঝামাঝি ফাটল দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, শত কোটি টাকায় নির্মিত এই নতুন ভবনে ফাটল অনেকের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। কারণ এটি চালু হওয়ার এক বছর পার হয়নি।
ফাটলের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনতাসির মামুন বলেন, এক নম্বর ভবনের ফাটল আমরা দেখেছি। বিশেষজ্ঞরা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছেন। ইটের তৈরি ৫ ইঞ্চি পুরু দেয়ালে এই ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে। পিলারসহ ভবনের যে মূল স্ট্রাকচার সেখানে এমন কোনো ফাটল দেখা যায়নি। তাই যে ফাটলগুলো দেখা দিয়েছে, সেগুলো ভবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ কেঁপে ওঠে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল নরসিংদীতে। পরে রাজধানীতে আরও দুটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।