স্যার ডাকলে খুলবে না, আব্বু ডাকো: ঢাবি ভিসির উদ্দেশে শিক্ষার্থীরা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২২ এএম
হল বন্ধ ঘোষণা স্থগিত করে নিরাপদ আবাসনের দৃশ্যমান সমাধানসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির বাসভবনের সামনে রাতভর অবস্থান করেছে ক্যাম্পাসের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী। এসময় তারা ভিসির বাসভবনের গেটে নক করে বলেন, দরজা খুলেন স্যার, আমরা আপনার বাড়ির সামনে আছি আমাদের অনেক ঠান্ডা লাগতেছে। পাশে থাকা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার ডাকলে খুলবে না, আব্বু ডাকো।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে হঠাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫ দিন বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থা নিয়ে এসব বলেন।
শিক্ষার্থী ভিসির বাসভবনের গেটে নক করে আরও বলেন, স্যার আপনি আমাদের বাবা। আপনি শুরু থেকে বলেছেন যেকোনো দরকারে আপনার গেট খোলা। স্যার আপনি দয়া করে একটু গেট খুলেন। আমরা বাইরে নিরাপদ বোধ করতেছি না, বাইরে লাগতেছে স্যার। মশা কামড়াচ্ছে, পরে ডেঙ্গু হয়ে যাবে স্যার। স্যার আপনারে একবারের বদলে তিনবার আব্বা ডাকবো, স্যার খুলেন। কলিং বেলের লাইন বন্ধ করে রাখছেন স্যার।
ডাকসু নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে না অভিযোগ করে তারা বলেন, হুটহাট এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কাজ করছে তৃতীয় পক্ষ।
তিন দফা দাবি হলো-
১. বাধ্যতামূলক হল বন্ধ ঘোষণা স্থগিত করে ঝুকিপূর্ণ ভবনগুলোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসনের ভিজিবল সল্যুশন দেখাতে হবে।
২. স্বাধীনতা টাওয়ারে ঝুঁকিপূর্ণ হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে যতদিনে না নতুন ভবনগুলোর কাজ শেষ হবে।
৩. উপরোক্ত ২ দফা মেনে নিয়ে বন্ধ ঘোষণা করলে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকদের কোয়ার্টারসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে, ভূমিকম্পে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার (২৩ নভেম্বর) থেকে আগামী ২ সপ্তাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে ঢাবির প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাবি প্রক্টর জানান, রোববার থেকে আগামী ২ সপ্তাহ বন্ধ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কাল (রোববার) বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দিতে হবে। হলগুলো ঠিকঠাক করে পরে বিশ্ববিদ্যালয় আবারও চালু করা হবে। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় ঢাবির সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং আবাসিক হলগুলো খালি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।