এবার ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, আঘাত হানতে পারে কবে?
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্নিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া ডট কমের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানান, আশা করা যাচ্ছে ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে এবং কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।
আজ রবিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে দেওয়া দ্বিতীয় আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এই পোস্টে কৃষক ও জেলেদের জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছে পলাশ।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) পাওয়া সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৬ বা ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (আন্দামান ও নিকবার দ্বীপের দক্ষিণ পাশে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ ও সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। একটি ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এই বিষয়ে সকল আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একমত হলেও সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে এই বিষয়ে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল ভিন্ন-ভিন্ন পূর্বাভাস দিচ্ছে।
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্রগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোন স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার আশংকা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি জানান, ২৬ নভেম্বর অধিক নিশ্চয়তা সহকারে জানা যাবে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি কেমন পরিমাণে শক্তিশালী হবে ও কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে।
কৃষকদের জন্য পরামর্শ
সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষিরা সম্ভব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।
ডিসেম্বর মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত জন্য রোদ্দৌজ্জল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুরো দেশে।
সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য পরামর্শ
ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশংকা করা যাচ্ছে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরা সকল ট্রলারকে। এ ছাড়া ৩০ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আবহাওয়ার পূর্বাভাস
ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শুরু করার আশংকা করা যাচ্ছে।
ডিসেম্বর মাসের ১-৫ তারিখ পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশংকা করা যাচ্ছে।