১৫ দিন বন্ধ ঢাবি, হল ত্যাগের নির্দেশ মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৫ এএম
সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও আফটার শকের পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রোববার (আগামীকাল) বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাধ্যতামূলকভাবে হল ছাড়ার নির্দেশ মানতে নারাজ অনেকেই।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ– নিরাপত্তার বিষয়টি দেখালেও মূলত প্রশাসনের লক্ষ্য হচ্ছে আবাসিক ভবন ‘স্বাধীনতা টাওয়ার’ দখলমুক্ত করা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভূমিকম্পের পর হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত ‘স্বাধীনতা টাওয়ার’ ভবনে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন। তারা নিজেদের বিছানা ও সরঞ্জাম নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানান অনেকে।
এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাহাত বলেন, “১৫ দিনের জন্য ঢাবি বন্ধ থাকবে। বিশেষত মুহসিন হল শিক্ষার্থীদের অভিযোগ- কর্মচারী ভবন স্বাধীনতা টাওয়ার দখলমুক্ত করতে তড়িঘড়ি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে আতঙ্ক কমে যাবে, ফলে হল স্থায়ীভবে সংস্কার করার চাপ কমে আসবে। তখন সাধারণ কিছু ইন্সপেকশনের মাধ্যমে দায় সারা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখাকে অসমর্থন করি না। তবে এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে, এবং হলগুলো ভূমিকম্প সহনীয় করে তোলার জন্যে স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শিক্ষার্থী ফেরদৌস আইমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা পলাশীর স্টাফ কোয়ার্টার দখল করছে। প্রশাসন এবং ছাত্র সংসদের যোগসাজশে তাই ১ দিনের মধ্যে হল ছাড়তে বাধ্য করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”
অপর এক শিক্ষার্থী আবির হাসান বলেন, “সামনের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অ্যাডমিশন টেস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীদেরই এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছুদের টিউশনি আছে, অনেকের রিসার্চ, ইন্টার্নশিপ বা জব প্রিপারেশনের ব্যাপার আছে। হল ছাড়তে বাধ্য করে এতগুলো মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলার পয়েন্ট কী?"
তিনি আরও বলেন, “ইন্সপেকশানের সময় হলে যদি কেউ থাকতে চায়, তাহলে অসুবিধা কী? হলে কেউ থাকলে ইন্সপেকশান করা যাবে না, নাকি? এমন তো না যে– ১৫ দিন পরে একদম সেইফ হয়ে যাবে এই বিল্ডিং। দিনশেষে এই বিল্ডিংগুলোতেই আমাদের থাকতে হবে।”