Logo
Logo
×

জাতীয়

যেকোনো সময় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১০ পিএম

যেকোনো সময় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে

ঢাকার বাড্ডা এলাকায় ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার ঠিক এক সেকেন্ড পরই নরসিংদীতে আরেকটি ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের মতে, নরসিংদীতে দুই প্লেটের সংযোগস্থলে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে আটশ বছরের বেশি সময় ধরে। সেখানে ৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূকম্পন তৈরির মতো শক্তি জমা হয়ে আছে বলে বলছেন সৈয়দ হুমায়ুন আখতার।

"এটা বের হবেই। মাধবদীর ভূমিকম্পের কারণে এখন সামনে সহজেই সেই শক্তি বের হয়ে আসতে পারে। আর সেটি হলে আমাদের ঢাকা নগরীর একটি মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠার আশংকা আছে। সে কারণে আর অবহেলা না করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া উচিত," বলছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের এই অঞ্চলে আগেও বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, এমনকি ভূমিকম্পে নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সেগুলো ছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম এই দুটো উৎসের বাইরে।

এ ধরনের ভূমিকম্পে ১৭৯৭ সালে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ বদলে গেছে । এখনকার মেঘনা নদী এক সময় লালমাই পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে প্রবাহিত হতো। বড় ধরনের ভূমিকম্পের ফলে এই নদীর গতিপথও পরিবর্তিত হয়ে ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে বর্তমান অবস্থানে সরে আসে।

১৭৬২ সালে টেকনাফ থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে সেন্টমার্টিন দ্বীপ তিন মিটার উপরে উঠে আসে। সিলেটের মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ এই অঞ্চলে ১৯২২ সালে হয়েছিল ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প। এর আগে ১৮৬৮ সালে ঐ অঞ্চলে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

ডাউকি ফল্ট যে অঞ্চলে সেই জৈন্তাপুর-সুনামগঞ্জে ৮দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল ১৮৯৭ সালে।

তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হতে পারে এমন দুটিই অঞ্চলের যেখানেই বড় কোনো ভূমিকম্প হলে অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ঢাকাতেই বড় বিপর্যয়ের আশংকা প্রকাশ করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার