২৮ ঘণ্টা পর মাকে জানানো হলো মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে আর নেই
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পুরান ঢাকায় ভূমিকম্পে ভবনের ছাদের রেলিং পড়ে মারা যান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি। এ ঘটনায় তার মা নুসরাত বেগম গুরুতর আহত হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় ছেলের মৃত্যুর ২৮ ঘণ্টা পর আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে তাকে খবরটি জানানো হয়।
রাফির দূর সম্পর্কের মামা শাহরিয়ার মেহফুজ জানান, ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নুসরাত। কিছুক্ষণ পরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়ছিলেন। তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের নিউরোসায়েন্স বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে আজ শনিবার ভোর ৫টার দিকে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বজনরা। সেইসঙ্গে আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয় রাফির মরদেহ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা বগুড়া শহরে পৌঁছান। এরপর নুসরাতকে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে বাদ জোহর বগুড়া শহরের নামাজগড়ে রাফির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার স্বজন ছাড়াও সহপাঠী, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে ছেলের মৃত্যুর খবর জানাতে যান নিকটজনদের একটি দল। ছেলেকে নিয়ে শঙ্কায় থাকা মা এবার হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। পরে জ্ঞান হারান। সবাই নানাভাবে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে মা নুসরাত বেগমের সঙ্গে মহিষের মাংস কিনতে বেরিয়েছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম রাফি। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলিতে একটি ভবনের নিচতলায় নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে তীব্র ঝাঁকুনিতে দোকানের সামনে থাকা ক্রেতাদের ওপর ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে তাদের ওপর।
গুরুতর আহত অবস্থায় নুসরাত ও রাফিকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। একই হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয় নুসরাতকে। পরে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।