Logo
Logo
×

জাতীয়

সারাদেশে করোনার ৪র্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু

Icon

জাগো বাংলা ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:২৯ পিএম

সারাদেশে করোনার ৪র্থ ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।

এসময় আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার অ্যান্টিবডি বেশিদিন থাকে না। এজন্য সরকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ৪ কোটি মানুষ ৪র্থ ডোজ নেওয়ার উপযোগী। তবে আপাতত আমরা ৫টি ক্যাটাগরিতে এই টিকা দেব। এক্ষেত্রে আমাদের মানুষ আছে ৮০ লাখ।

টিকার চতুর্থ ডোজ কেন নেবেন

প্রাথমিকভাবে বয়স্ক জনগোষ্ঠী, ফ্রন্টলাইনার ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদেরকে টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, এক ডোজ টিকার ফলে তৈরি অ্যান্টিবডি অন্তত ছয় মাস পর কমতে শুরু করে। চতুর্থ ডোজ টিকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গত মাসে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। তবে তারপরও জনমনে প্রশ্ন আছে— টিকার চতুর্থ ডোজের প্রয়োজনীয়তা কী?

চলতি বছরের আগস্ট মাসে বিএসএমএমইউ এক গবেষণায় জানায়, বুস্টার ডোজ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই কমতে শুরু করে অ্যান্টিবডি। কোভিড-১৯ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের এক মাস পরে পরিচালিত গবেষণায় ২২৩ জনের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। যারা আগেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের শরীরে তুলনামূলক বেশি অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। টিকা গ্রহণের ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে দেখা গিয়েছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। করোনা টিকার চতুর্থ ডোজের প্রয়োজন আছে কিনা তা জানতে ওই গবেষণা করা হয় বলে জানান বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো ইমিউনোকমপ্রোমাইজড ব্যক্তিদের জন্য চতুর্থ ডোজের সুপারিশ করেছে। জানুয়ারি মাসে ইসরায়েল প্রথম দেশ হিসেবে চতুর্থ ডোজটি আরও ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করে— যখন এটি ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের পাশাপাশি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চতুর্থ ডোজ অনুমোদন দেয়। এক্ষেত্রে শর্ত ছিল তাদের তৃতীয় ডোজের পরে চার মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হতে হবে।

তাদের কাছে এখন ১০ লাখেরও বেশি মানুষের কাছ থেকে তথ্য রয়েছে যে, চতুর্থ ডোজটি জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ এবং গুরুতর রোগ প্রতিরোধে কতটা কার্যকর হয়েছে। দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে তারা ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ১২ লাখ মানুষের ওপর গবেষণা করে। তারা দেখেছেন, চতুর্থ ডোজের এক মাস পর মারাত্মক কোভিড-১৯-এর হার ৩ ডোজের গ্রুপের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ কম।

ওমিক্রন সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বিশ্লেষণের পর হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাস পর্যন্ত দুই ডোজের পর ৭২ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া গেছে, যা বুস্টার ডোজের দুই সপ্তাহের মধ্যে ৮৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

চতুর্থ ডোজ যেসব কেন্দ্রে দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার