কেয়ামত জুমার দিনে হওয়া নিয়ে কোরআন ও হাদিসে যা বলা হয়েছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী কেয়ামত এমন একটি বাস্তব সত্য, যার ভয়াবহতা ও আকস্মিকতার কথা আল কোরআন ও সহিহ হাদিসে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআন কেয়ামতের দিনকে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করেছে বিচার দিবস, হিসাবের দিন, মহাসমাবেশের দিন, পরিতাপের দিন, ফায়সালার দিন এবং পুনরুত্থান দিবস যাতে মানুষ সেই দিনের কথা স্মরণ করে সতর্ক থাকতে পারে।
কোরআনের দৃষ্টিতে কেয়ামতের ভয়াবহতা
কোরআনে কেয়ামতের দৃশ্যকে অত্যন্ত বিভীষিকাময় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো হবে। (সুরা কারিয়াহ : ৪)
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান থেকে। (সুরা আবাসা : ৩৩-৩৭)
কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী কেয়ামতের শুরুর প্রকম্পন এতটাই ভয়ংকর হবে যে, প্রত্যেক স্তন্যদায়ী মা তার শিশুকে ভুলে যাবে, গর্ভবতী নারীর গর্ভপাত হবে এবং মানুষ মাতালের মতো আচরণ করবে। (সুরা হজ : ১-২)
কেয়ামতের সময় কেবল আল্লাহরই জানা
কবে কেয়ামত সংঘটিত হবে, সে প্রশ্নে কোরআন দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, এর জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকট। তারা তোমাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে… বলুন, এর জ্ঞান আমার প্রতিপালকের নিকট। (সুরা আরাফ : ১৮৭)
হাদিসে কেয়ামতের নির্দিষ্ট দিন: জুমা
যদিও কেয়ামতের সঠিক সময় কেউ জানে না, তবে কোন দিনে তা সংঘটিত হবে—সে বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। সহিহ হাদিসে তিনি বলেন, সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম দিন জুমার দিন… এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি হয়েছেন, দুনিয়ায় অবতীর্ণ হয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন, তার তওবা কবুল হয়েছে। এই দিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। (আবু দাউদ : ১০৪৬)
হাদিসে আরও উল্লেখ আছে, জুমার দিনের ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত সব প্রাণী কেয়ামতের ভয় থেকে চিৎকার করতে থাকে। কারণ তারা জানে, এ দিনেই মহাপরিণতি ঘটবে।
জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্ত
এ দিনেই রয়েছে একটি কবুলের সময়, কোনো মুসলিম যদি এই সময়ে দোয়া করে, আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করেন। (আবু দাউদ)।
কোরআন জানায় কেয়ামত কখন ঘটবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তবে সহিহ হাদিসের মাধ্যমে রাসুল (সা.) জানিয়ে গেছেন কেয়ামত জুমার দিনেই সংঘটিত হবে। এই দিনকে ঘিরে ইসলামে বিশেষ মর্যাদা ও সতর্কতার নির্দেশ রয়েছে।