Logo
Logo
×

জাতীয়

যৌথবাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় আহত ১০, আটক ৫

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

যৌথবাহিনীর গাড়িবহরে হামলায় আহত ১০, আটক ৫

বান্দরবানের লামার ফাইতং পাগলীর আগা এলাকার ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেছেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা।  

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চকরিয়ার-মানিকপুর সড়কের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন- চকরিয়া সবুজবাগ এলাকার মাস্টার ছৈয়দ নুরের ছেলে দিদারুল ইসলাম, সুরাজপুর এলাকার সিরাজ আহমদের ছেলে সুমন, ফাইতং এলাকার মো. মনির উদ্দিন ছোটন, মাইজ কাকারা এলাকার নুরুল আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন ও মাঝেরপাড়ি এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আরাফাত।

জানা যায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের অবৈধ ইটভাটায় অভিযানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের গাড়িবহর উপজেলার কাকারা পাহাড়তলী বাদশারটেক এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবিসহ যৌথবাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালায়।

এ সময় ইটভাটার মালিক, শ্রমিক ও কিছু স্থানীয় বাসিন্দা এ হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি ও একটি ট্রাক ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে প্রতিবাদের মুখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান বন্ধ করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ায় সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী টিমের সঙ্গে থাকা চকরিয়া থানা ও লামা থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর গাড়িবহরের সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকদের শান্ত করে রাস্তার ব্যারিকেট তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে ইটভাটার শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চকরিয়ার মানিকপুর এলাকায় ৫টি ও বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং অংশে ৫টি ইটভাটা রয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে চকরিয়া অংশের ৩টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার