বিয়ে গোপন করায় নারীর কারাদণ্ড, লাইসেন্স বাতিল কাজির
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
আগের বিয়ে গোপন করায় দ্বিতীয় স্বামীর করা মামলায় এক বছর কারাদণ্ড হয়েছে এক নারীর। একইসঙ্গে ওই বিয়ের কাজিকেও দেওয়া হয়েছে দুই বছর কারাদণ্ড; সেইসঙ্গে তার লাইসেন্স বাতিলের রায়ও দিয়েছেন আদালত।
জাহিদ হাসান নামের এক কম্পিউটার প্রকৌশলীর করা প্রতারণার মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন জাহিদের স্ত্রী মোছা. নুসরাত জাহান তাসনিম ওরফে মোছা. তাসমিন নাহার (২৬) এবং কাজি আবু মুসা আহম্মদ। কারাদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে তাদের।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোগ্রাফার আনিসুল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার পর নুসরাতকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে কাজি আবু মুসা পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় মো. আমিনুল ইসলাম নামে আরেক আসামি ছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রংপুরের বাসিন্দা জাহিদ ২০২০ সালে ঢাকার আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। তার তিন বছর আগে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহরে নুসরাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
মামলায় জাহিদ অভিযোগ করেন, বিয়ের সময় নুসরাতকে অবিবাহিত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে নুসরাত তার ভাইকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি নুসরাত তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। এই বিষয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ ঘরোয়া সালিসি আয়োজন করা হয়। তখন তার কাছে দেনমোহর বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর তিনি জানতে পারেন যে নুসরাত তাঁর আগের বিয়ে গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন।