Logo
Logo
×

জাতীয়

গুলশান লেকপাড়ে তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, নেপথ্যে প্রেমের দ্বন্দ্ব

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ এএম

গুলশান লেকপাড়ে তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, নেপথ্যে প্রেমের দ্বন্দ্ব
রাজধানীর গুলশান লেকপাড়ে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার জেরে গাড়িচালক সাইদুর ইসলাম সৌরভকে (২৭) ছুরিকাঘাতে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন— রুবেল (২৩), শামীম ওরফে পিচ্চি শামীম (২৭) এবং মো. আকাশ (২২)।

তালেবুর রহমান জানান, গত ১০ নভেম্বর গুলশান লেকের পাশের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা রুজুর পর গুলশান থানার একটি বিশেষ টিম গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি জানান, ১৫ নভেম্বর ভাটারা থানার বালুর মাঠ হাজারী গলি এলাকা থেকে আকাশকে এবং মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে শামীম ওরফে পিচ্চি শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশকে জানায়, রুবেল দুই বছর আগে ভাটারা থানাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন, যেখানে নিহত সৌরভ বাড়িওয়ালা মামুনের গাড়ি চালাতেন। এই সূত্রে সৌরভের সঙ্গে রুবেলের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে মামুনের মেয়ের সঙ্গে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং রুবেলের স্ত্রীর প্রতিও তার অনাকাঙ্ক্ষিত আগ্রহ দেখা দেয়। এসব কারণে দেড় বছর আগে সৌরভকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
পরে সৌরভ আবার মামুনের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দিতে রুবেলকে চাপ দিতে থাকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রুবেল সৌরভকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সহযোগীদের নিয়ে গুলশান লেকপাড়ে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।গ্রেফতার রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গুলশান থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার