Logo
Logo
×

জাতীয়

ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১০ পিএম

ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সোমবার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায় ঘোষণার আগের রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকায় পরিবেশ উপদেষ্টা বাসা ও এনসিপি কার্যালয়ের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়।

এর মধ্যে রাত ৯টার পর রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকার সেন্ট্রাল রোডে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

প্রায় একই সময়ে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে ককটেল হামলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের পথচারী এবং বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ছাড়া, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার মোড়ে চলন্ত গাড়ি থেকে দুটি, রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর মেট্রো স্টেশনের নিচে একটি, ‎রাজধানীর শ্যামপুরে ফ্লাইওভারের ওপর থেকে দুটি স্থানে তিনটি, মহাখালীতে একটি, দারুস সালাম থানার রোজিনা পেট্রোল পাম্পের পেছনে একটি এবং বাড্ডা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি বাসেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, হাসিনাসহ ৩ আসামির রায় ঘিরে আওয়ামী লীগের যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নাশকতা প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রোববার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া রাজধানীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

সূত্র জানিয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে জমায়েত হতে না পারে, সেজন্য সব থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর পাশাপাশি রেল ও নৌপথেও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ সদস্যরাও সতর্ক রয়েছে। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, যারা মানুষ ও পুলিশ সদস্যদে ওপর ককটেল হামলা ও যানবাহনে আগুন দেবেন, আইনসম্মতভাবেই তাদের ওপর গুলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, পুলিশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো দল বা গোষ্ঠি নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে, পুলিশ দেশ ও জনগণের স্বার্থে তা প্রতিরোধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। 

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট এলাকায় ডিএমপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলেও জানান তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার