পারিবারিক কবরস্থানকে সামাজিক দেখিয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
একটি পারিবারিক কবরস্থানকে সরকারি কাগজে কলমে ‘সামাজিক কবরস্থান’ হিসেবে দেখিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয় ৮টি প্রকল্প নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবির হোসেনের বিরুদ্ধে। কবরস্থানের উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪ লাখ টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামে৷ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর পারিবারিক কবরস্থান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন সরদারের ইচ্ছায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার সচিবকে সন্তুষ্ট রাখতে কবির হোসেন কাজটি করেছেন।
নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে, গত ১৮ মে জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়া আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাওয়া ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০টি প্রকল্প নেওয়া হয় ফুলপুর উপজেলায়। যার ৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামে। প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
প্রকল্পের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে নিজ আশাবট গ্রামের হাজি শমসের আলী সাহেবের কবরস্থান উন্নয়ন। শমসের আলী স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর দাদা। ৪ নম্বর প্রকল্প নিজ আশাবট গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে সীমানাপ্রাচীর টাইলসকরণ। তালিকার ৮, ২১, ২৪, ২৫, ২৭ ও ৩২ নম্বর প্রকল্পও একই কবরস্থান ঘিরে। এসব প্রকল্পে সুপেয় পানির অবকাঠামোর টাইলস ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সুপেয় পানির অবকাঠামো নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর, নালা নির্মাণ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি কম্বল কেনার একটি কার্যাদেশ দেন কবির হোসেন। জেলার ১৩টি উপজেলার দুস্থ, অসহায় ও গরিব মানুষের জন্য প্রায় ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার কম্বল সরবরাহের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে কম্বল সরবরাহের কথা। জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কম্বল বুঝে পায়নি।
এছাড়া জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার। তার সই জাল করে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণের কার্যবিবরণী তৈরির অভিযোগ রয়েছে কবির হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে।
এদিকে মো. কবির হোসেন সরদারের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ তার অধীনে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এক কবরস্থানের জন্য আট প্রকল্প গ্রহণ, কম্বল বিতরণে অনিয়ম, জেলা পরিষদের প্রশাসকের সই জালিয়াতিসহ মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ অক্টোবর কবির হোসেনকে ময়মনসিংহ থেকে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২ নভেম্বর নতুন আদেশে কবির হোসেনকে নেত্রকোনা জেলা পরিষদে বদলি করা হয়।
কবির হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৩ সালে সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের নামে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত একটি পোশাক কারখানার শেয়ার কিনে সেটি দখলের অভিযোগ ওঠে। উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে ১১ মাস বসবাস করেও ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালে কবির হোসেন সরদারকে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল (দুই ধাপ অবনমিত)।
ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কবরস্থানটি এই গ্রামের সামাজিক কবরস্থান নয়। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর পারিবারিক কবরস্থান। সচিবের বাড়ির সামনে কবরস্থানটিতে সচিবের পরিবারের বাইরে অন্য কেউ ব্যবহার করেন না। তাই পুরাতন একটি সাইনবোর্ডে পারিবারিক কবরস্থান লেখা রয়েছে।
একই গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।
তিনি বলেন, এটি পারিবারিক কবরস্থান। কিছুদিন আগে কবরস্থানের সীমানা চিহ্নিত করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কাজটি সরকারিভাবেই হচ্ছে।
জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী ও কম্বল ক্রয় কমিটির সদস্য আবদুর রউফ বলেন, আমি কোনো কম্বল বুঝে পাইনি। কীভাবে কম্বলের বিল গেছে এটাও আমি জানি না।
জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কম্বল বুঝে পাওয়ার কোনো নথি আমাদের কাছে নেই। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কম্বল বিতরণ হয়েছে মর্মে কিছু কাগজ আমাদের দিয়েছেন।
জেলা পরিষদের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার বলেন, কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আমার সই জাল করে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণের কার্যবিবরণী তৈরির অভিযোগটি নজরে আসার পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, আমি কখনো কবরস্থানে প্রকল্প দিতে বলিনি। ওখানে জনগণের জন্য পানির ব্যবস্থা ও একটি পাঞ্জেখানা মসজিদের (যে মসজিদে জুমা ছাড়া অন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হয়) জন্য বলেছিলাম। আমি এখন এটি বাদ দিতে বলেছি। ইতোমধ্যে কবির হোসেনকে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, নোটিশের যথাযথ জবাবও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সব আমি একা করি না। মাসিক সভায় অনুমোদন করে মন্ত্রণালয় হয়ে আসে। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা অনেক সময় প্রকল্প পরিবর্তন করি।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে ঐচ্ছিক কার্যাবলির আওতায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন আকারে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামে৷ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর পারিবারিক কবরস্থান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন সরদারের ইচ্ছায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার সচিবকে সন্তুষ্ট রাখতে কবির হোসেন কাজটি করেছেন।
নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে, গত ১৮ মে জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জিয়া আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে একটি সভা হয়। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাওয়া ৯০ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০টি প্রকল্প নেওয়া হয় ফুলপুর উপজেলায়। যার ৯টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামে। প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা।
প্রকল্পের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে নিজ আশাবট গ্রামের হাজি শমসের আলী সাহেবের কবরস্থান উন্নয়ন। শমসের আলী স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর দাদা। ৪ নম্বর প্রকল্প নিজ আশাবট গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে সীমানাপ্রাচীর টাইলসকরণ। তালিকার ৮, ২১, ২৪, ২৫, ২৭ ও ৩২ নম্বর প্রকল্পও একই কবরস্থান ঘিরে। এসব প্রকল্পে সুপেয় পানির অবকাঠামোর টাইলস ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, সুপেয় পানির অবকাঠামো নির্মাণ, সীমানাপ্রাচীর, নালা নির্মাণ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি কম্বল কেনার একটি কার্যাদেশ দেন কবির হোসেন। জেলার ১৩টি উপজেলার দুস্থ, অসহায় ও গরিব মানুষের জন্য প্রায় ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার কম্বল সরবরাহের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মেসার্স হাওলাদার এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে কম্বল সরবরাহের কথা। জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কম্বল বুঝে পায়নি।
এছাড়া জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার। তার সই জাল করে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণের কার্যবিবরণী তৈরির অভিযোগ রয়েছে কবির হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে।
এদিকে মো. কবির হোসেন সরদারের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ তার অধীনে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এক কবরস্থানের জন্য আট প্রকল্প গ্রহণ, কম্বল বিতরণে অনিয়ম, জেলা পরিষদের প্রশাসকের সই জালিয়াতিসহ মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ২৬ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ অক্টোবর কবির হোসেনকে ময়মনসিংহ থেকে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ২ নভেম্বর নতুন আদেশে কবির হোসেনকে নেত্রকোনা জেলা পরিষদে বদলি করা হয়।
কবির হোসেন সরদারের বিরুদ্ধে বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৩ সালে সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের নামে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থিত একটি পোশাক কারখানার শেয়ার কিনে সেটি দখলের অভিযোগ ওঠে। উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে ১১ মাস বসবাস করেও ভাড়া পরিশোধ না করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দুই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালে কবির হোসেন সরদারকে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল (দুই ধাপ অবনমিত)।
ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের নিজ আশাবট গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কবরস্থানটি এই গ্রামের সামাজিক কবরস্থান নয়। এটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর পারিবারিক কবরস্থান। সচিবের বাড়ির সামনে কবরস্থানটিতে সচিবের পরিবারের বাইরে অন্য কেউ ব্যবহার করেন না। তাই পুরাতন একটি সাইনবোর্ডে পারিবারিক কবরস্থান লেখা রয়েছে।
একই গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।
তিনি বলেন, এটি পারিবারিক কবরস্থান। কিছুদিন আগে কবরস্থানের সীমানা চিহ্নিত করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কাজটি সরকারিভাবেই হচ্ছে।
জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী ও কম্বল ক্রয় কমিটির সদস্য আবদুর রউফ বলেন, আমি কোনো কম্বল বুঝে পাইনি। কীভাবে কম্বলের বিল গেছে এটাও আমি জানি না।
জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, কম্বল বুঝে পাওয়ার কোনো নথি আমাদের কাছে নেই। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কম্বল বিতরণ হয়েছে মর্মে কিছু কাগজ আমাদের দিয়েছেন।
জেলা পরিষদের প্রশাসক তাহমিনা আক্তার বলেন, কবির হোসেনের বিরুদ্ধে আমার সই জাল করে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণের কার্যবিবরণী তৈরির অভিযোগটি নজরে আসার পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, আমি কখনো কবরস্থানে প্রকল্প দিতে বলিনি। ওখানে জনগণের জন্য পানির ব্যবস্থা ও একটি পাঞ্জেখানা মসজিদের (যে মসজিদে জুমা ছাড়া অন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হয়) জন্য বলেছিলাম। আমি এখন এটি বাদ দিতে বলেছি। ইতোমধ্যে কবির হোসেনকে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কবির হোসেন বলেন, নোটিশের যথাযথ জবাবও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প সব আমি একা করি না। মাসিক সভায় অনুমোদন করে মন্ত্রণালয় হয়ে আসে। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা অনেক সময় প্রকল্প পরিবর্তন করি।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজু মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে ঐচ্ছিক কার্যাবলির আওতায় অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন আকারে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।