প্রাথমিকের ডিজিকে নিয়ে গোলাম মাওলা রনির বিস্ফোরক মন্তব্য
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।
গোলাম মাওলা রনি লিখেছেন, ড. ইউনূস সরকার কেমন চলছে! কাদের কারণে মাত্র ১৪ মাসের মাথায় স্টেপ ডাউন ইউনূস স্লোগানে রাজপথ উত্তাল, তা যদি জানতে চান তবে ছবির ভদ্রলোকের আমল নামার কিয়দংশ জনস্বার্থে প্রকাশ জরুরি!
তিনি লিখেছেন, ভদ্রলোকের নাম আবু নূর মো. শামসুজ্জামান! প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা অধিধপ্তরের মহাপরিচালক তিনি! তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি খেয়াল খুশি মতো চলেন, কেউ তাকে টেলিফোনে পান না, ফিল্ড মার্শালের চেয়েও তার ক্ষমতা বেশি, সাহায্যপ্রার্থী তার ধারে কাছে যাওয়া তো দূরের কথা, তার চ্যালা-চামুণ্ডাদের ছায়ার সামনেও যেতে ভয় পায়।
সাবেক এই সংসদ সদস্য লিখেছেন, ভদ্রলোক সম্পর্কে উল্লেখিত অভিযোগ শোনার পর নেহায়েত কৌতূহলবশত আমি তার অফিসের ল্যান্ডফোন ০২৫৫০৭৪৭৭৭ নম্বরে কল করে জানতে পারলাম যে, হুজুর ব্যাংকক ভ্রমণে আছেন। তিনি দেশে ফেরার পর তার তিনটি মোবাইল নম্বরে (০১৭৩০৭৯৪৭৩৭, ০১৩৩২৫১০০০৪, ০১৮১৯১১৬৫১৮) একাধিক বার ফোন করে এবং তার ল্যান্ডফোনে যোগাযোগ করে যা বুঝলাম তা হলো- তার সিন্ডিকেটের বাইরে তিনি কথা বলেন না।
তিনি আরও লিখেছেন, ভদ্রলোকের নিকট আমার কোন কাজ নেই। আমার অবস্থানে থাকা কোনো মানুষেরই এই ধরনের অফিস বা ব্যক্তির সঙ্গে কাজ থাকে না। কিন্তু উল্লেখিত অভিযোগ, রাস্তায় প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ইত্যাদি কারণে নিতান্ত কৌতূহলী হয়েই আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু সাড়া না পেয়ে অগত্যা তার পিএস মামুনকে তার সরকারি নম্বরে (০১৩৩২৫১০১৯৪) ফোন দিলাম। পিএস সাহেবও ফোন ধরলেন না।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক লিখেছেন, প্রাথমিকের ডিজি অফিসের একজন জানালেন যে, স্যারের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সিন্ডিকেট কর্মকর্তা আছেন তাদের মধ্যে একজন ভালো। আপনি তাকে ফোন করতে পারেন। সে মতে, ভালো কর্মকর্তাকে ফোন করে জানলাম- তার সাহস নেই ডিজি স্যারের সঙ্গে কথা বলার। তিনি আরও জানালেন যে, স্যারের পিএস মামুনই সবকিছু করেন। আমি বড়জোর আপনার সালাম মামুনের নিকট পৌঁছাতে পারব।
তিনি লিখেছেন, ভালো অফিসারটি আমার সালাম মামুন হুজুরকে দিয়েছেন কিনা জানিনা। হুজুর সেই সালাম নিয়েছেন কিনা তাও জানিনা। তবে এতক্ষণে বড় হুজুর আবু নূর সম্পর্কে যা বুঝেছি তা জনস্বার্থে প্রকাশ করা অবশ্যক।
সবশেষে রনি লিখেছেন, ড. ইউনূস জমানায় ডিসি নিয়োগে বিশ কোটি, সচিব নিয়োগে শত শত কোটির ওপেন টেন্ডার নিয়ে সারাদেশে অনেক তোলপাড় হয়েছে! কিন্তু ডিজি প্রাথমিক, এলজিআরডির চিফ ইঞ্জিনিয়ার, রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি পদের টেন্ডার কত হয়েছে তা আমরা জানিনা। উল্লেখিত পদগুলোর বাস্তবতা হলো- এসব পদে যদি দুর্নীতিবাজরা অবাধ লাইসেন্স পায় তবে ৫০০ কোটি কামাই করতে এক সপ্তাহও লাগেনা। জাস্ট একটা ঘুডা দিয়ে কয়েক হাজার বদলির অর্ডার ইস্যুর পর ফোন বন্ধ করে বসে থাকলেই হলো- বাকিটা সিন্ডিকেটই ম্যানেজ করে দেবে!