পে-স্কেল বাস্তবায়নে যে ধরনের কর্মসূচির চিন্তা কর্মচারী নেতাদের
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
নবম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন ও ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো নির্ধারণের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের নেতারা ১:৪ অনুপাতে বেতন কাঠামো নির্ধারণ, অর্থাৎ সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা করার দাবি জানান। পাশাপাশি নবম পে-স্কেলের গেজেট ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে প্রকাশ ও ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করারও দাবি তোলা হয়।
নেতারা আরও বলেন, পে-স্কেলে দীর্ঘদিনের বৈষম্য দূর করতে ২০১৫ সালের পে-স্কেল থেকে বাদ পড়া ৩টি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, বেতন জ্যেষ্ঠতা ফেরানো এবং সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাচুইটির পাশাপাশি পেনশন চালুর প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া গ্র্যাচুইটির হার ৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ, এবং পেনশন গ্র্যাচুইটিতে প্রতি ১ টাকার মান ৫০০ টাকা নির্ধারণের দাবিও জানান তারা।
সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পে কমিশনের সুপারিশ জমা ও গেজেট প্রকাশের সময়সীমা মানা না হলে আন্দোলন হবে আরও কঠোর।’ তিনি ঘোষণা দেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না এলে, ৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মহাসমাবেশ ও টানা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থেকে কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।