বিচারকপুত্র খুনের ঘটনার সূত্রপাত সিলেট থেকে
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ এএম
রাজশাহীতে বিচারকপুত্র খুনের ঘটনার সূত্রপাত সিলেট নগরী থেকে। এ ব্যাপারে সিলেটের পুলিশ, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দিচ্ছেন নানা তথ্য।
জিডির কথা স্বীকার করে সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মবশ্বির আলী যুগান্তরকে বলেন, বিচারকপুত্র খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ইমন ওরফে লিমন বহিস্কৃত সেনা সদস্য। খুনের আগে সিলেটে এ নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। এসবের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ খুনের ঘটনা ঘটল।
তিনি জানান, ইমন দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করে আসছিল জজ সাহেবের স্ত্রীকে। টাকার দরকার হলেই ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করত। ওসি বলেন, ম্যাডাম সিলেট আসার খবর পেয়ে ওই যুবকও সিলেটে আসে এবং পথে ঘাটে বিরক্ত করতে থাকে। ওই ঘটনায় জিডি হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৫ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ইমন ওরফে লিমনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। তখন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসী মামলা করতে বলা হলেও তিনি রাজি হননি। ফলে পুলিশ সন্দেহভাজন দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে সে জামিনে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে চলে যায় রাজশাহীতে এবং খুনের ঘটনা ঘটায়।
পুলিশ আরও জানায়, এরও আগে গত ৪ নভেম্বর সিলেট নগরীর আম্বরখানায় বিচারকের স্ত্রীকে হেনস্থা করে ইমন। এ ঘটনার পরদিন শাবির শিক্ষার্থীরা ইমনকে আটক করে।
সিলেট কোয়ান্টাম মেথডের একজন শিক্ষার্থী জানান, বিচারকের স্ত্রী ও বহিস্কৃত সেনা সদস্য ইমন কোয়ান্টামে মেডিটেশনের কোর্স করেন। সেখানে তাদের দু’জনের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালো বোঝাপড়া লক্ষ্য করা গেছে। তবে পরবর্তীতে কি থেকে কি হয়েছে সেটা জানিনা।
পুলিশ আরও জানায়, গত ৪ ও ৫ নভেম্বরের ঘটনায় জিডি বা মামলা না করলেও বিচারকের স্ত্রী বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসি জালালাবাদ থানায় জিডি করেন।
সেই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য হওয়ায় লিমন মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর সে মোবাইল নম্বর নেয়। পরিবার আর্থিকভাবে কিছুটা দুর্বল হওয়ায় প্রায়ই লিমন আর্থিক সহযোগিতা নিতেন। এক পর্যায়ে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা চাইতো। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে, সে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি-ধামকি দিতেন। গত ৩ নভেম্বর তার মেয়ের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কল করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের হত্যা করার হুমকি দেয়। লিটন যে কোনো সময় আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এ কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।