Logo
Logo
×

জাতীয়

পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম

পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষের কষ্টও বেড়েছে। হিমালয়ের পাদদেশে বয়ে আসছে শীতল হিমেল বাতাস, যার প্রভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে দ্রুত নামছে তাপমাত্রা। তীব্র এই ঠান্ডায় কাঁপছে পুরো জেলা। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এদিকে মাসের শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

করতোয়া নদীতে বালু তোলার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক নুর ইসলাম বলেন, ‘রাতে গরম কাপড় ছাড়া বের হওয়া যায় না। সকালে নদীতে নামলে হাত-পা জমে যায়। পানি এমন ঠান্ডা লাগে যেন বরফে নামছি। কিন্তু পেটের দায়ে না নামলে উপায় নেই।’

আরেক শ্রমিক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘এখনও কোনোভাবে নদীতে নামা যায়, কিন্তু আরও কিছুদিন পর হলে আর নামা যাবে না। তখন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।’

স্থানীয়রা বলেন, ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে চরমে। দিনের বেলা কিছুটা রোদ উঠলেও উত্তরের হিম বাতাসে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা কিছুটা কমে যায়। 

আরও পড়ুন
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, তেঁতুলিয়ায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা কিছুটা করে কমছে। উত্তরের দিক থেকে হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করায় তাপমাত্রা আরও কমবে। চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস মিলেছে। গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, শীতের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার ছিল ১৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ১৪ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার