Logo
Logo
×

জাতীয়

পে স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম

পে স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে সুখবর দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পে-স্কেলের একটি ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সময় এটা (পে-স্কেল) করতে পারব কিনা, এটা কিছুটা অনিশ্চিত। আমরা মোটামুটি একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবো এবং আগামী সরকার বিষয়টি সিরিয়াসলি নেবে।

আপনারা পে-স্কেল দিতে পারবেন কিনা? সাংবাদিকেদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পে কমিশনের কাজটা কিন্তু অত্যন্ত জটিল। ওরা একেবারে স্বাধীনভাবে কাজ করবে। ওখানে কিন্তু আমাদের কোনো রকম ভূমিকা নেই। পে-কমিশনে- ওইখানে সিভিল পে কমিশন, আর্মিদের জন্য আলাদা একটা .. আছে। এখন ওই তিনটা রিপোর্ট পাওয়ার পরে ওটাকে আবার কনসিসটেন্ট লাগবে। একটা একরকম দেবে, সেটা একটু সময় লাগে। সে জন্য আমি বলেছি যে আমাদের সময় এটা করতে পারবো কিনা, এটা কিছুটা আনসার্টেনটি।

তিনি বলেন, এর কারণ এটা আবার এই তিনটা রিপোর্ট দেখে ওটাকে আবার রিকনসাইল (সমন্বয়) করতে হবে। রিকনসাইল করার পরে অ্যাডমিনিস্ট্রেট কতগুলো প্রসেস আছে। সচিব কমিটি আছে ওরা দেখবে। তারপর ফাইনান্স দেখে- কত বিষয় সম্পৃক্ত রয়েছে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেজন্য আমি বলেছি যে আমরা পুরাপুরি একটা সেটআপ, রিপোর্টটা পাওয়ার পর মোটামুটি একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবো। কারণ আমরা এই সময়ের মধ্যে যদি এটা রিকনসাল করতে পারি করবো। এখানে সবচেয়ে বড় হলো অর্থের সংস্থান।

নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটাতে ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়া অপ্রত্যাশিত। এটা তো আমি ইনিশিয়েটিভ নিয়ে, আমরাই ইনিশিয়েটিভ করেছি। ৮ বছর ওরা (সরকারি চাকরিজীবীরা) অপেক্ষা করতে পেরেছেন, এখন আমাদের ১২ মাসে আমরা একটা চেষ্টা করছি আমরা করবো। এটা একটু ধৈর্য ধরতে হবে।

তিনি বলেন, ৭-৮ বছর কিছু হয়নি, এখন হঠাৎ করে আমরা নিজে যারা ইনিশিয়েটিভ নিলাম তারপর ক্ষোভ বরং তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত যে আমরা চেষ্টা করছি একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাবো। রিপোর্টটা যদি আসে তখন আগামী সরকার খুব সিরিয়াসলি নেবে না বলে আমার মনে হয় না, ওদের সিরিয়াসলি নিতে হবে। কারণ এই কাজটা করছে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট, অনেক চিন্তাভাবনা করে।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনটা বিশেষ ধরনের পে-স্কেল আছে, এটা রিকনসাল করবে। অতএব আমার মনে হয় এটা ওরা একটু ধৈর্য ধরুক। অর্থের সংস্থান আছে, এখন যদি মনে করে যে যেই পে-স্কেল আছে সেই পে-স্কেল যদি আমরা বলে দেই ওটাই থাকবে, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখানে বাজেটের ব্যাপার আছে তো। অন্যান্য সেক্টর আছে তো আমাদের বাজেটে। পে-স্কেল ছাড়াও তো আমরা স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয় আছে। সেগুলো তো আমার দেখতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার