২০২৬ সালে ঐচ্ছিক ছুটি—৫, ৯, ৮, ৭ ও ২ দিন
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
২০২৬ সালে ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী বছর ২৮ দিন ছুটি পাবে সরকারি চাকরিজীবীরা। যদিও এর মধ্যে ১১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে। এই ২৮ দিনের মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি রয়েছে।
এ ছাড়া ধর্মভিত্তিক ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে। মুসলিম কর্মচারীরা নিতে পারবেন ৫ দিন, হিন্দু ধর্মের কর্মচারী ৯ দিন, খ্রিস্টান ধর্মের জন্য ৮ দিন, বৌদ্ধ ধর্মের জন্য ৭ দিন, আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ২ দিন।
গতকাল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয় সহকারী সচিব এ বি এম আবু বাকার ছিদ্দিক।
তবে একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট ৩ দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি পাবেন। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে।
ঐচ্ছিক ছুটিগুলোর মধ্য মুসলিম পর্বে রয়েছে, শবে মিরাজ, ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের তৃতীয় দিন), ঈদুল আজহা (ঈদের পরের চতুর্থ দিন), আখেরি চাহার সোম্বা ও ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।
হিন্দু পর্বে রয়েছে, শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা, শ্রী শ্রী শিবরাত্রি ব্রত, দোলযাত্রা, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, মহালয়া, শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী), শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা ও শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা।
এদিকে খ্রিস্টান ধর্মের পর্বে রয়েছে সাত দিনের ঐচ্ছিক ছুটি। তা হলো ইংরেজি নববর্ষ, ভস্ম বুধবার, পুণ্য বৃহস্পতিবার, পুণ্য শুক্রবার, পুণ্য শনিবার, ইস্টার সানডে ও যিশু খ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের পূর্বের ও পরের দিন)।
এ ছাড়া বৌদ্ধ ধর্ম পর্বে রয়েছে, মাঘী পূর্ণিমা, চৈত্রসংক্রান্তি (তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত দেশের অন্যত্র সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য), বুদ্ধ পূর্ণিমা (পূর্বের ও পরের দিন), আষাঢ়ী পূর্ণিমা, *মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) ও প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটি রাখা হয়েছে দুই দিন।
তা হলো- বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, যে সব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যে সকল অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার কর্তৃক অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।