‘প্রাইমারি শিক্ষকদের কেউ মেয়ে দিতে চায় না, তাই ৫০ বছরেও বিয়ে হয়নি
জাগো বাংলা প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
প্রাইমারি শিক্ষকদের বেতন কম তাই কেউ প্রাইমারি শিক্ষকদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না, তাই আমার বয়স প্রায় পঞ্চাশ হয়ে গেল এখনো বিয়ে করতে পারিনি। এমনটাই বলছিলেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষক।
তিনি বলেন, যখনই বিয়ের আলাপ শুরু হয়, তখনই মেয়ের বাবারা বলে, কিভাবে একজন প্রাইমারি শিক্ষকের কাছে মেয়ে বিয়ে দেব। আমরা যে চাকরি করি এখানে কোনো ঘুষ নেই, মেয়ের বাবারা চাচ্ছে একজন পাত্র, তাঁর ঘুষের টাকা আছে কি না এবং সে ভালো বেতনে চাকরি করে কি না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন থামাতে সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করবেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।
তিন দফা দাবিতে সোমবার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত এই কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন।
এই আন্দোলনে নেতৃতত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (কাসেম-শাহীন) সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাসেম, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ এবং দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান।
শিক্ষকদের এই আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তৃতীয় ধাপে সুপারিশ পাওয়া সহকারী শিক্ষক মো. মহিব বুল্লাহ জানান, তারাও এই আন্দোলনে তৃতীয় দিনেও সক্রিয় রয়েছেন। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবিতে শনিবার (৮ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
ওইদিন পুলিশি নির্যাতনের পর রবিবার (৯ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। একসঙ্গে চলতে থাকে ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি এবং সারা দেশে শিক্ষকদের কর্মবিরতি।