Logo
Logo
×

জাতীয়

পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

Icon

জাগো বাংলা প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৩ এএম

পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

তিন দফা দাবিতে আজ রবিবার থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। এতে শিক্ষক, পুলিশ ও রিকশাচালকসহ অন্তত ১১০ জন আহত হয়েছে। পরে চারটি শিক্ষক সংগঠনের জোট ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে থাকা শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।

তারা জানান, পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি বাস্তবায়ন।

এদিন সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে গেলে পুলিশ চড়াও হয়।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, একদল শিক্ষক শান্তিপূর্ণভাবে ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি শেষে জানিয়েছিলেন, তারা শহীদ মিনারে ফিরে যাবেন। তবে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আরেকটি দল আমাদের ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করি।

তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে প্রথমে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে, এরপর লাঠিচার্জ এবং জলকামান ব্যবহার করে।

ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জরুরি বিভাগে শতাধিক মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গুরুতর আহত কাউকে পাইনি। তাদের বেশিরভাগের হাঁটুর নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং কেউ কেউ সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এক বিবৃতিতে ডিএমপি জানিয়েছে, শাহবাগ মোড়ের কাছে বিক্ষোভকারীদের একটি দল পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার দিকে এগোতে থাকে। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং জলকামান ব্যবহার করে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: মহিউদ্দিন সরকার