সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেড করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে বিভাগীয় উপপরিচালক পর্যন্ত কর্মকর্তাদের বেতন এক গ্রেড করে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। গত ২৪ এপ্রিল গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ১১তম গ্রেডে থাকা প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।

তবে সহকারী শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। এ বৈষম্য দূর করতে তারা দীর্ঘদিন ধরে গ্রেড উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেড ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি এবং সেই লক্ষ্যে কাজও চলছে। খুব সহসাই ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে। আর সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি। পে কমিশনে এটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।’

সরকারের কাছে পাঠানো প্রস্তাব অনুযায়ী, শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেডের (১১ হাজার টাকা স্কেল) পরিবর্তে ১১তম গ্রেড (১২ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) করার কথা বলা হয়েছে।

সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউএপিইও) বেতন ১০ম গ্রেড (১৬ হাজার টাকা স্কেল) থেকে নবম গ্রেডে (২২ হাজার টাকা স্কেল) উন্নীত করা হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ইউপিইও) বেতন নবম গ্রেড (২২ হাজার টাকা স্কেল) থেকে অষ্টম গ্রেডে (২৩ হাজার টাকা স্কেল) উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের (ডিপিইও) বেতন সপ্তম গ্রেড (২৯ হাজার টাকা স্কেল) থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে (৩৫ হাজার ৫০০ টাকা স্কেল) উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।

এর বাইরে বিভাগীয় উপপরিচালকদের বেতন পঞ্চম গ্রেড (৪৩ হাজার টাকা স্কেল) থেকে চতুর্থ গ্রেডে (৫০ হাজার টাকা স্কেল) উন্নীত করার প্রস্তাব দিতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।